শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬

আত তাগাবুন

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
يُسَبِّحُ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۖ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ۖ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ﴾
১) আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে তার সবই আল্লাহর তাসবীহ করছে৷  তিনিই সর্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী  এবং সব প্রশংসাও তারই ৷
﴿هُوَ الَّذِي خَلَقَكُمْ فَمِنكُمْ كَافِرٌ وَمِنكُم مُّؤْمِنٌ ۚ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ﴾
২) তিনি সবকিছু করতে সক্ষম৷  তিনিই সেই মহান সত্তা যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন৷ অতপর তোমাদের মধ্য থেকে কেউ কাফের এবং কেউ মু’মিন৷  তোমরা যা করছো আল্লাহ তা দেখছেন৷
﴿خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ ۖ وَإِلَيْهِ الْمَصِيرُ﴾
৩) তিনি আসমান ও যমীনকে যথাযথরূপে সৃষ্টি করেছেন তিনি তোমাদেরকে আকার-আকৃতি দান করেছেন এবং অতি উত্তম আকার-আকৃতি দান করেছেন৷ অবশেষে তাঁর কাছেই তোমাদের ফিরে যেতে হবে৷
﴿يَعْلَمُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَيَعْلَمُ مَا تُسِرُّونَ وَمَا تُعْلِنُونَ ۚ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ﴾
৪) আসমান ও যমীনের সবকিছু সম্পর্কেই তিনি জানেন আর তোমরা যা গোপন করো এবং যা প্রকাশ করো তাও তিনি জানেন৷  মানুষের অন্তরের কথাও তিনি খুব ভাল করে জানেন৷
﴿أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَبَأُ الَّذِينَ كَفَرُوا مِن قَبْلُ فَذَاقُوا وَبَالَ أَمْرِهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ﴾
৫) এর পূর্বে যেসব মানুষ কুফরী করেছে এবং নিজেদের অপকর্মের পরিণামও ভোগ করেছ তাদের খবর কি তোমাদের কাছে পৌঁছেনি ? তাদের জন্য নির্দিষ্ট আছে অতীব কষ্টদায়ক শাস্তি৷ ১০
﴿ذَٰلِكَ بِأَنَّهُ كَانَت تَّأْتِيهِمْ رُسُلُهُم بِالْبَيِّنَاتِ فَقَالُوا أَبَشَرٌ يَهْدُونَنَا فَكَفَرُوا وَتَوَلَّوا ۚ وَّاسْتَغْنَى اللَّهُ ۚ وَاللَّهُ غَنِيٌّ حَمِيدٌ﴾
৬) তারা এরূপ পরিণতির সম্মুখীন হয়েছে এ কারণে যে, তাদের কাছে যেসব রসূল এসেছেন তাঁরা স্পষ্ট দলীল-প্রমাণ নিয়ে তাদের কাছে এসেছিলেন৷ ১১ কিন্তু তারা বলেছিল : মানুষ কি আমাদের হিদায়াত দান করবে ? ১২ এভাবে তারা মানতে অস্বীকৃতি জানালো এবং মুখ ফিরিয়ে নিল৷ তখন আল্লাহও তাদের তোয়াক্কা করলেন না৷ আল্লাহ তো আদৌ কারো মুখাপেক্ষীই নন৷ তিনি আপন সত্তায় প্রশংসিত৷১৩
﴿زَعَمَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَن لَّن يُبْعَثُوا ۚ قُلْ بَلَىٰ وَرَبِّي لَتُبْعَثُنَّ ثُمَّ لَتُنَبَّؤُنَّ بِمَا عَمِلْتُمْ ۚ وَذَٰلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ﴾
৭) অস্বীকারীরা দাবী করে বলেছেন যে, মরার পরে আর কখনো তাদের জীবিত করে উঠানো হবে না৷ ১৪ তাদের বলে দাও, আমার রবের শপথ, তোমাদের অবশ্যই উঠানো হবে৷ ১৫ তারপর (দুনিয়ায়) তোমরা যা করেছো তা অবশ্যই তোমাদেরকে অবহিত করা হবে৷ ১৬ এরূপ করা আল্লাহর জন্য খুবই সহজ৷ ১৭
﴿فَآمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَالنُّورِ الَّذِي أَنزَلْنَا ۚ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ﴾
৮) তাই ঈমান আন আল্লাহ, তাঁর রসূল এবং সেই ‘নূর’ বা আলোর প্রতি যা আমি নাযিল করেছি৷ ১৮ আর তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবহিত৷
﴿يَوْمَ يَجْمَعُكُمْ لِيَوْمِ الْجَمْعِ ۖ ذَٰلِكَ يَوْمُ التَّغَابُنِ ۗ وَمَن يُؤْمِن بِاللَّهِ وَيَعْمَلْ صَالِحًا يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّئَاتِهِ وَيُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ۚ ذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ﴾
৯) (এ বিষয়ে তোমরা টের পাবে সেইদিন৷ যখন একত্র করার দিন তোমাদের সবাইকে তিনি একত্র করবেন৷ ১৯ সেদিনটি হবে তোমাদের পরস্পরের হার-জিতের দিন৷ ২০ যে আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে৷ এবং নেক আমল করে ২১ আল্লাহ তা’আলা তার গোনাহ মুছে ফেলবেন আর তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশ দিয়ে ঝরণা বইতে থাকবে৷ এসব লোক চিরস্থায়ীভাবে সেখানে থাকবে৷ এটাই বড় সফলতা
﴿وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ خَالِدِينَ فِيهَا ۖ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ﴾
১০) আর যারা কুফরী করেছে৷ এবং আয়াতসমুহকে মিথ্যা বলেছে ২২ তারাই দোযখের বাসিন্দা হবে৷ তারা চিরস্থায়ীভাবে সেখানে থাকবে৷ তা অত্যন্ত নিকৃষ্ট স্থান৷
﴿مَا أَصَابَ مِن مُّصِيبَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۗ وَمَن يُؤْمِن بِاللَّهِ يَهْدِ قَلْبَهُ ۚ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ﴾
১১) আল্লাহর ২৩ অনুমোদন ছাড়া কখনো কোন মুসিবত আসে না৷২৪ যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ করে আল্লাহ তার দিলকে হিদায়াত দান করেন৷ ২৫ আল্লাহ সব কিছু জানেন৷ ২৬
﴿وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ ۚ فَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَإِنَّمَا عَلَىٰ رَسُولِنَا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ﴾
১২) আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রসূলের আনুগত্য করো৷ কিন্তু তোমরা যদি আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে সত্যকে স্পষ্টভাবে পৌঁছিয়ে দেয়া ছাড়া আমার রসুলের আর কোন দায়িত্ব নেই৷ ২৭
﴿اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ﴾
১৩) তিনিই আল্লাহ যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই৷ ঈমানদারদের আল্লাহ ওপরেই ভরসা করা উচিত৷ ২৮
﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّ مِنْ أَزْوَاجِكُمْ وَأَوْلَادِكُمْ عَدُوًّا لَّكُمْ فَاحْذَرُوهُمْ ۚ وَإِن تَعْفُوا وَتَصْفَحُوا وَتَغْفِرُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ﴾
১৪) হে সেই সব লোক যারা ঈমান এসেছো, তোমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের শত্রু৷ তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাক৷ আর যদি তোমরা ক্ষমা ও সহনশীলতার আচরণ করো এবং ক্ষমা করে দাও তাহলে আল্লাহ অতিব ক্ষমাশীল, অতিব দয়ালু৷ ২৯
﴿إِنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ ۚ وَاللَّهُ عِندَهُ أَجْرٌ عَظِيمٌ﴾
১৫) তোমাদের অর্থ-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি একটি পরীক্ষা৷ আর কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে আছে বিরাট প্রতিদান৷ ৩০
﴿فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ وَاسْمَعُوا وَأَطِيعُوا وَأَنفِقُوا خَيْرًا لِّأَنفُسِكُمْ ۗ وَمَن يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ﴾
১৬) তাই যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় করে চলো৷ ৩১ শোন, আনুগত্য করো এবং নিজেদের সম্পদ ব্যয় করো৷ এটা তোমাদের জন্যই ভাল৷ যে মনের সংকীর্ণা থেকে মুক্ত থাকলো সেই সফলতা লাভ করবে৷ ৩২
﴿إِن تُقْرِضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا يُضَاعِفْهُ لَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ۚ وَاللَّهُ شَكُورٌ حَلِيمٌ﴾
১৭) যদি তোমরা আল্লাহকে করযে হাসানা দাও তাহলে তিনি তোমাদেরকে তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবেন ৩৩ এবং তোমাদের ভূল-ত্রুটি ক্ষমা করবেন৷ আল্লাহ সঠিক মূল্যায়ণকারী ও অতিব সহনশীল৷ ৩৪
﴿عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ﴾
১৮) সামনে উপস্থিত ও অনুপস্থিত সবকিছুই তিনি জানেন৷ তিনি মহাপরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী৷NULL

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন