বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০

সুশীল মুসল্লি

 সুশীল মুসল্লি সাজতে চাইলাম। তাই হানাফি মাজহাবের বিপরীতে গিয়ে ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়তে শুরু করছিলাম। কারণ হাদিসে আছে,  "সূরা ফাতেহা না পড়লে সালাত হয়না"। এ ক্ষেত্রে, "যার ইমাম রয়েছে, ইমামের কিরাতই তার কিরাত" কে থোড়াই কেয়ার করলাম। ইমামও পড়ে আমিও পড়ি। 

কিন্তু সুশীলগিরী আমার বেশিদিন সইল না।

 কারণ ইমামের সাথে আমার প্রায়ই মিলেনা। কেমন জানি গোলমাল লেগে যায়। কিছুদিন পর জেহরি সালাতে ফাতিহা পড়া ছেড়ে দিলাম। কারণ "যখন কুরআন পড়া হয় তখন তোমরা মনোযোগ দিয়ে তা শোনো ও চুপ থাকো" (আরাফ-২০৪) আমাকে শান্তি দিলোনা। কিন্তু আমাকে তো সুশীল মুসল্লি হতে হবে। তো? এবার যে সব সালাতে ইমাম আস্তে ক্বিরাত পড়ে সে সব সালাতে ফাতিহা পড়া শুরু করলাম। বিপত্তি তাতে গেল না। দেখলাম আমি ফাতিহার দু- তিন আয়াত পড়ার আগেই ইমাম সাহেব রুকুতে চলে যান। আমাকে মাঝ পথে থেমে যেতে হয়। কারণ আমি ইমাম সাহেবের মত দ্রুত পড়তে পারিনা। দ্রুত পড়তে গেলেই " কুরআন পড় ধীরে ধীরে স্পষ্টভাবে ও সুন্দরভাবে " (মুজ্জাম্মিল-৪)  আমাকে বারেবার চোখ রাঙ্গায়। আমি ভয় পেয়ে যাই। তদুপরি ওই হাদিসটি মনে পড়ে যায় যেটাতে বলা আছে, সুরা ফাতিহা যখন পড়া হয় তখন মহান আল্লাহ প্রতিটি আয়াত পড়ার পরে জবাব দিয়ে থাকেন। তো প্রতিটি আয়াতের পরে আমাকে ওয়াকফ করতে হয়। 

এখন আমি কি করবো? সুশীল মুসল্লি হতে পারলাম না। তাই আপাতত হানাফিতেই সমাধান। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন