রবিবার, ২৪ জুন, ২০১২

রাগে রাগ কাটে



   


রাগ কি জিনিস তা আমারা সবাই মোটমুটি জানি।বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধানে রাগ বলতে বুঝানো হয়েছে “ক্রোধ সঞ্চারের ফলে মনে মনে অতিশয় ক্ষুদ্ধ হওয়া”। Oxford Dictionary- বলা হয়েছে “strong feeling of annoyance and hostility.” সে যা-ই হোক, একটা উদাহরণ দিলে রাগ আরো পরিষ্কার হবে বোধকরি। ধরুন সেজেগুজে অফিসে যাচ্ছেন। হাঁটতেছেন রাস্তার পাশ ঘেঁষে। হঠাৎ রাস্তার পাশে জমে থাকা বৃষ্টির ময়লা পানির উপর দিয়ে একটা প্রাইভেট কার শাঁ করে চলে গেল। আর ময়লা পানিতে ভরে গেল আপনার আইরন করা শার্ট-প্যান্ট। আপনার মেজাজটা এখন প্রাইভেট কারের উপর কেমন, ঠান্ডা না গরম? জ্ঞানিরা বলেন ইহা এক প্রকার রাগ।রাগের এসব আভিধানিক-পারিভাষিক কাসুন্দি না ঘেঁটে একটা বাস্তবিক রাগের দৃশ্যে যাওয়া যাক।সেদিন সন্ধ্যায় বিকেলের সোনাঝরা-হলদেমাখা রোদ্দুরের পাকৃতিক শোভা উপভোগ করে ফিরছি।কমলাপুর ওভারব্রিজ দিয়ে আসছি।ওভারব্রিজ তো নয় যেন মানুষের মিছিল। মনে হচ্ছে ঢাকা শহরের সব মানুষ কমলাপুরের এই ওভারব্রিজ দিয়ে পার হচ্ছে।ব্রিজ দিয়ে নিচে নামার সময় দেখি নিচে একটা কিসের যেন জটলা। স্থির পানির উপর ঢিল পড়লে ঢেউ যেভাবে চতুার্দিকে ছড়িয়ে যায় নিচে নামতে দেখি জটলা ঠিক সেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।হুজুগে বাঙ্গলিী বলে আমাদের একটা সুনাম(?) আছে না!জটলার শিরোমণি ৩০-৩৫ বৎসরের এক যুবক রাগে গজগজ করছেন ও এক রিক্সাওয়ালাকে বেদম চড়-থাপ্পড় মারছেন। সাথে তার মুখের শ্লীল-অশ্লীল অমৃতে(!) উপস্থিত জনতা ধন্য হচ্ছেন।আর তার বউ যথাসম্ভব তাকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন।যুবক চিৎকার দিয়ে বলছেন, কি! এতবড় সাহস ওর, খিলগাঁও রেলগেট পর্যন্ত আমার কাছে বিশ টাকা ভাড়া চায়মুরব্বী গোছের একভদ্রলোক রিক্সাওয়ালার হয়ে বললেন, আপনি তো দামাদামি করতে পারতেন, বলতে পারতেন দশ বা পনের টাকায় যাবে কিনা।তা না করে আপনি তাকে মারলেন কেন? তার একটাই কথা সে আমার কাছে বিশ টাকা চাইবে কেন?কয়েকজন তাকে বুঝাতে চাচ্ছেন যে বিশ টাকা ভাড়া চাওয়া দোষের কিছু নয়। একজন বললেন আপনি কি তাকে বিশ টাকা দিয়ে দিয়েছেন? যুবকের ওই একই কথা। অনেকের মত আমারাও মজা দেখছিলাম কোথাকার জল কোথা গিয়ে থামে। ইতিমধ্যে রিক্সাওয়ালার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। হঠাৎ ভিড়ের মধ্য থেকে এক রিক্সাওয়ালা চিৎকার দিয়ে উঠল, “ধর শালারে”।সাথে সাথে যুদ্ধের মোড় পাল্টে গেল। দশ-বারো জন রিক্সাওয়ালা যুবককে ঘিরে ফেলল।কয়েকজন তাকে ঝাপটে ধরল।সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে দেখলাম যে পারল হাতের সদব্যবহার করতে ছাড়লেনা। লোকটির রাগ একদম ঠান্ডা। আর সে নিজে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। লোকজনের কেহ পুলকিত হলেন, কেহ কিঞ্চিত ব্যথিত হলেন আর কেহ যুবকটির জন্য আপসোস করলেন, আহা! বেচারা বউয়ের সামনে…………। লোকটি কৌশলে বউকে নিয়ে কেটে পড়লেন। আর আমি মনে করার চেষ্টা করলাম কোথায় যেন পড়েছি,  If single Bengali is coward, if united they are cruel.



সোমবার, ১৮ জুন, ২০১২

মা দিবস- নিমু মাহবুব





মা দিবস
শিল্পী মনির খান মাকে নিয়ে দারুণ একটি গান গেয়েছেন, “যদি তিন ভুবনের সমস্ত সুখ আমায় দিতে চাও/ বিনিময়ে তোমরা আমার মা’কে কেড়ে নাও/ আমি চাইবোনা সে সুখ। যদি হাজার দুঃখ আসে/ মা থাকলে আমার পাশে/ সেইতো হবে আশ্রয় আমার মায়ের শীতল বুক/ আমি চাই শুধু সে সুখ।প্রত্যেক বছরের মত এবারো ‘মা’ দিবসকে নিয়ে মিডিয়া মোটামুটি সরগরম ছিল। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে বিশেষ রিপোর্ট ও অনুষ্ঠানমালা ছিল।তবে সবচেয়ে সরব ছিল ফেসবুক।এদিন অনেকেই মা’কে বিশেষ উপহার দিয়ে থাকেন। অনেকে তাকে খুশি করতে আলাদা যত্ন নিয়ে থাকেন।অনেকে “মা আমি তোমায় ভালোবাসি” কথাটি প্রকাশ্যে বলতে পারেননা। তাই বলে  তারা মাকে কম ভালোবাসেন এটা ভাবার কোন সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে মৌখিক ভালোবাসার চেয়ে কাজের মাধ্যমে তার বহিঃপ্রকাশই শ্রেয়তর।যা-ইহোক, পৃথিবীতে মায়ের চেয়ে আপন বা দরদী আর কেউ হতে পারেনা। মাকে কোন বিশেষণে বিশেষিত করা যায়না।এ মায়ের প্রতি বিশেষ একটা দিনের লৌকিক আবেগ, মায়া, দরদ বা ভালোবাসা কোনটাই যখেষ্ট নয়। বরং সেদিনই মায়ের প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা ও আদরের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে যেদিন বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও বৃদ্ধাশ্রম বলে কিছু থাকবেনা। কারন এসব বৃদ্ধাশ্রম মনে করিয়ে দেয় যে সভ্য জগতের কতটা অসভ্য প্রাণী আমরা। জীবনের বাঁকে বাঁকে বিভাগে শেখ মো: কেফায়েতের উপদেশ ও অনুরোধ সবার মনে রাখা কর্তব্য।এক্ষেত্রে একটি গল্প না বলে পারছিনা।গল্পটি আমাদের লক্ষীপুর- নোয়খালীর গ্রামীন সমাজে বেশ প্রচলিত।এক পড়ন্ত বিকেলের অবসরে বউ শাশুড়ি গল্প করতেছেন। একপর্যায়ে শাশুড়ি বউকে বললেন, বউমা আমার পিঠটা ছুলকাচ্ছে তুমি একটু আঁচড়িয়ে দাও।আচঁড়ানোর জন্য বউ যতবারই হাত উঠাতে চাচ্ছে ততবারই তার পা আসছে।অবশেষে বউ তা শাশুড়িকে জানাল। শাশুড়ি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, দাও পা দিয়েই আচঁড়াও। আমিও অমার শাশুড়িকে পা দিয়েই………।  আসুন শুধু বিশেষ কোন দিনে নয় ৩৬৫ দিনই মা’কে সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি, আদর করি আর ভালোবাসি। মনির খানের গানের মত মা-ই যেন হন আমাদের সুখ-দুঃখের একমাত্র আধার।
(নয়াদিগন্তের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন অবকাশে প্রকাশিত)

শুক্রবার, ১৫ জুন, ২০১২

প্রধানমন্ত্রীর কাছে নোয়াখাইল্যার নালিশ

মাননীয় হরধান মন্ত্রী,
সেলাম লইয়েন। আশা করি ভালা আছেন। তই নালিশ অইলো আন্নে ক্ষমতাত্ আইছেন হাড়ে তিন বচর অই যাইতেছে। ম্যালা উন্নয়ন করিহালাইছেন। আমরাও ম্যালা খুশি। আমনের অনেক উন্নয়নের লগে আমরা নোয়াখাইল্লারা একমত না অইলেও এতদিন আমরা নালিশ করিনো। কিন্তু অন আর ধৈর্য্য রা্কতাম হারিনো বলি দুঃক্কিত। বর্মার রোহিঙ্গাগোরে লই আন্নের হররাষ্ট্রমন্ত্রী যে অবস্তান জানাইছে তা আমরা কোনভাবেই মাইন্তাম হাইত্তেছিনা। আমরা নোয়াখাইল্লারা এমনিতিই একটু দিল দরিয়ার মানষ। তারহরে রোহিঙ্গাগোরে হেইদেশি বৌদ্ধরা যেইভাবে নির্যাতন করি ঘর-বাড়ি ছাড়া কইচ্ছে তাতে দুঃক্কে আঙ্গো কইলজাদি ছেল ডুকি গেছে, বুক হাডি লহু বাইর অইতেছে। তাই আন্নের কাছে অনুরুদ করি দয়া করি রোহিঙ্গাগোরে আঙ্গোদেশে কিছুদিনের জন্য অইলেও আশ্রয় দেনের ব্যবস্তা করেন। ভুলি যাইয়েননা একাইত্তোর সালে আঙ্গো বাপ-দাদারা বারতে গিয়া আশ্রয় লইছে। তাই আবার কইতেছি রোহিঙ্গাগো দিকে এক্কানা মানবিক নজরে তাকাই চান। আল্লা আন্নের বালা কইরবো।


আর এক্কান কতা। মাইজদির ইকরাইম্মারে কিছু নসিহত দিয়েন। নইলে সামনের নির্বাচনে হিগার খবর আছে। হেই লগে আন্নেরও।

আর লক্ষুরার তারইয়া (তাহের) আবার বাড়াবাড়ি শুরু কইচ্চে। হিগারেও এক্কানা হুঁশিয়ার করি দিয়েন। নইলে আমরা নোয়খাইল্লারা কিন্তু আমনের লগে নাই কই দিলাম। হরে কিন্তু হস্তাইবেন।
আইজ এই হইর্যন্ত।

ইতি নোয়াখাইল্লাবাসি 

শুক্রবার, ৮ জুন, ২০১২

সংখ্যায় লঘু বলিয়াই


সংখ্যায় লঘু বলিয়াই?
ভারতের প্রধান সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিমদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রকৃত চিত্রটি তুলিয়া ধরিতে রাজিন্দর সিংহ সাচারের নেতৃত্বে যে কমিটি গড়া হয়, তাহার সুপারিশে মুসলিমদের উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব ছিল। মুসলিম-প্রধান এলাকাগুলিতে থানায় অন্তত একজন করিয়া মুসলিম ইনস্পেক্টর বা সাব-ইনস্পেক্টর নিয়োগ করা ছিল তেমনই একটি প্রস্তাব। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্য দূর করিতে তত নয়, এই প্রস্তাব দেওয়া হয় সংখ্যালঘুদের মনে আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করিতে। প্রশ্ন হইল, এই সামান্য কাজটুকু কত দূর অগ্রসর হইয়াছে? কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির কাছে ইহা জানিতে চাহিয়াছে, যেহেতু থানায় নিয়োগের বিষয়টি পুরোপুরিই রাজ্যের এক্তিয়ার। কিন্তু কোনও রাজ্যই এ ব্যাপারে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ দেয় নাই। কেননা সব রাজ্যই সংখ্যালঘু উন্নয়নের বিষয়টিকে হয় প্রতীকী অনুগ্রহ-বিতরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিয়াছে, নতুবা সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে পারিতোষিক বা উৎকোচ বিলির বন্দোবস্তে পরিণত করিয়াছে।
পশ্চিমবঙ্গের কথাই ধরা যাক। এখানে সংখ্যালঘু উন্নয়ন বলিতে সরকার বুঝিয়াছে নজরুল ইসলামের নামে অকাদেমি প্রতিষ্ঠা, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সহিত ‘মাদ্রাসা’ শব্দটি জোড়া হইবে কিনা, সে সংক্রান্ত অবান্তর বিতর্ক, ফুরফুরা শরিফ অবধি ট্রেন চালানো কিংবা ইমাম-মুয়েজ্জিনদের মাসিক ভাতা প্রদান। মুসলমান সমাজের কোনও বৃহত্তর মঙ্গল বা কল্যাণ ইহাতে হইবার নয়। অথচ পুলিশে কনস্টেবলের চাকুরির জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম যোগ্যতা বহু মুসলিম যুবকের থাকা সত্ত্বেও মুসলিম-প্রধান এলাকায় ইনস্পেক্টর দূরস্থান, মুসলিম কনস্টেবলও যথেষ্ট সংখ্যায় দেখিতে পাওয়া যায় না। রাজ্যের যে সব জেলায় মুসলিমরা জনসংখ্যার ত্রিশ শতাংশেরও বেশি, সেখানে স্রেফ সামাজিক সন্তুলনের স্বার্থেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্য হইতে পুলিশ, প্রশাসনিক অফিসার, বিচারবিভাগীয় কর্মী নিয়োগ করা উচিত। কিন্তু সংখ্যালঘুদের ক্রমশ কোণঠাসা করিতে করিতে কালক্রমে তাঁহাদের ‘নেই’ করিয়া দিবার, অস্তিত্বহীনতার অপরিচয়ে ঠেলিয়া দিবার যে-অনুশীলন ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় রাষ্ট্র সুপরিকল্পিত ভাবে করিয়া আসিয়াছে, তাহার কাছে সংখ্যালঘু কল্যাণের দায়বদ্ধ কর্মসূচি রূপায়ণের প্রত্যাশা দুরাশা মাত্র। এই রাষ্ট্র ধর্মধ্বজীদের বাহবা কুড়াইতে হজ-যাত্রীদের জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা রাখে, কিন্তু মুসলিম পড়ুয়াদের জন্য স্কুল, মুসলিম কর্মপ্রার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত রাখে না।
এ ভাবেই সংখ্যালঘুরা অপরিচয়ের অন্ধকারে থাকিয়া যান। সংখ্যাগুরুর সহিত তাঁহাদের সংযোগ ও সংশ্রবের বিন্দুগুলি হারাইয়া যায়। নাগরিক সমাজে এই সমস্যা জটিলতর। গ্রামসমাজে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে যে সংযোগ ঐতিহ্যবাহিত, তাহা সম্ভবত এখনও সম্পূর্ণ নির্মূল হয় নাই। কিন্তু শহরে অপরিচয় প্রায় ষোলো আনা দাঁড়াইয়াছে। এই ভয়াবহ অপরিচয় দূর করিতে যত্নবান হইলে সংখ্যালঘু মানুষ আপনাকে সমাজের স্বাভাবিক এবং অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসাবে গণ্য করিতে পারিতেন, তাঁহাদের আজও মানসিকতায় সংখ্যালঘু হইয়া থাকিতে হইত না। এক দিকে সংখ্যালঘুদের ক্রমশ প্রান্তিক করিয়া দিব, সব ধরনের সংস্থা ও সংগঠনে তাহাদের জনসংখ্যার আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব খর্ব করিয়া তাহাদের ক্ষমতায়নের যাবতীয় সম্ভাবনা ঘুচাইয়া দিব, অন্য দিকে মাদ্রাসা-শিক্ষার মধ্যযুগীয় অনগ্রসরতাকে প্ররোচনা দিয়া ইমাম-মৌলানার কর্তৃত্বকে বাড়তি বৈধতায় মণ্ডিত করিব ইহাই কি ভারতীয় গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সংখ্যালঘু উন্নয়নের নীতি? প্রান্তিকতা হইতে প্রাগ্রসরতায় উত্তরণ নয়, অতীতের গৌরব ও মহিমা হইতে বর্তমানের অপ্রাসঙ্গিকতায় নিক্ষেপণই সরকারের সংখ্যালঘু নীতি?
সূত্র: আনন্দবাজার

সোমবার, ৪ জুন, ২০১২

““ভালোবাসি””

““ভালোবাসি””

ভালোবাসি শিশির কণা
ভালোবাসি দুর্বাঘাস,
ভালোবাসি ভোরের আলো


ভালোবাসি সাদা কাশ।


ভালোবাসি চাঁদের হাসি
ভালোবাসি পাখির গান,
ভালোবাসি নীল জোছনা
ভালোবাসি নদীর তান।

ভালোবাসি অনেক কিছু
নয়কো মোটেই পরিহাস,
সবার চেয়ে বেশি আমি
ভালোবাসি অবকাশ।