শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

সুন্নাতে খৎনার বিরুদ্ধে মারাত্মক ষড়যন্ত্র! - নিমু মাহবুব।

 বাড়িতে যখন ওস্তা বেডা আসলেন তখন সময়টা ছিল যোহরের নামাজের খানিক আগে বা পরে। আমাকে একটা পিঁড়িতে বসানো হলো। মুন্সি বাড়ির চাচাতো ভাই রহিম হাত দিয়ে আমার চোখ বন্ধ করে রাখলো। ওস্তা বেডা ( খলিফা) কি করলেন জানি না। মনে হলো পিঁপড়ের কামড়। তারপর তিনি পট্টি বেঁধে দিলেন। কয়েকদিন পর ভালো হয়ে গেল। অবস করার কোন ঔষধ দূরে থাকুক কাটার পরে কোন ঔষধ দিয়েছিল কিনা আমার ঠিক মনে নেই। এই হলো আমার "ওস্তা কাম" বা  "সুন্নাতে খৎনা" কিংবা মুসলমানি করানোর ইতিহাস। 

খবরে দেখলাম খৎনা করাতে গিয়ে মৃত্যু! তাও আবার হাসপাতালে! প্রশিক্ষিত ডাক্তারের হাতে! কি ভয়ঙ্কর! 

আমাদের সময়ে যিনি খৎনার কাজ করতেন তার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ ছিল না। তথাপি তার হাতে খৎনা করার পর কোন সমস্যার কোন নজির আমরা দেখি নাই।  অতীতকালে কারো কোন সমস্যা হয়েছিল বলে আমরা শুনি নাই। মৃত্যু তো দূর কি বাত! তাহলে আধুনিক যুগে হসপিটালে এমবিবিএস ডাক্তারের হাতে খৎনা করাতে গিয়ে মৃত্যু শুধু অসম্ভব নয় অচিন্তনীয়ও বটে। এটা সরাসরি হত্যা*কান্ড। আমরা মনে করি এটা সুন্নাতে খৎনার বিরুদ্ধে একটা গভীর চক্রান্ত। এটার তদন্ত হওয়া জরুরী। 


গার্ডিয়ান যারা আছে তাদেরও সমস্যা আছে। তারা বাচ্চাদেরকে একদম ফার্মের মুরগির মতো করে লালন- পালনে অভ্যস্ত। বাচ্চার শরিরে একটু আঁচড় লাগলে, একটু ব্যথা পেলে এমনি বাচ্চা একটা হাঁচি দিলেও তারা হার্টফেল করে বসে থাকেন। তাদের জন্য করুণা।


মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৩

চর্মনাইয়ের পীর- নিমু মাহবুব



সত্যের দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনি তিমির রাত
খেয়ে যাই ধর্মের ক্ষীর
আমরা চর্মনায়ের পীর।

কুরআন হাদিসের ধার ধারি না
"ভেদে মারেফত" না ছাড়ি না
"আশেকে মাশুক" পড়ি অস্থির
আমরা চর্মনায়ের পীর।

আল্লাহ ওয়ালাদের দূরে ঠেলিয়া
নাস্তিকেরে কোলে তুলিয়া
উচ্চে ধরি শির
আমরা চর্মনায়ের পীর।

বেগুন- পেঁয়াজেরে মুরিদ বানাই
বাঘ সাপেরে পোষ মানাই
বাঁশের আগায় বানাই নীড়
আমরা চর্মনায়ের পীর।

ধর্মের নামে ব্যবসা খুলিয়া
মুরিদরে সব কিস্তিতে তুলিয়া
একসাথে জাহান্নামে যাই
আমরা পীরে চর্মনাই।

ওয়াজের মাঠে গল্পো বলিয়া
মানুষেরে ভুলভাল বুঝাইয়া সুজাইয়া
সতের হাজার কোটি মাল কামাই
আমরা পীরে চর্মনাই।