বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১১

খবরের কাগজের গল্প বনাম রাস্তার গল্প


খবরের কাগজের গল্প বনাম রাস্তার গল্প

॥ রইসউদ্দিন আরিফ ॥
১. হরতালের নানান হিসাব-নিকাশ : খবরের কাগজের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। একটি দৈনিকে এক বিদগ্ধ কলামিস্ট হরতালের একচেটিয়া বিরুদ্ধাচরণ করে লিখেছেন, ‘এক মাসে ছয় দিন হরতাল করলে যে ক্ষতি হয়, সেই টাকায় দেশের অন্তত দুই কোটি মানুষকে এক মাস খাইয়ে-পরিয়ে সুখে-শান্তিতে রাখা যায় (হরতাল ও লজ্জাশরমের সমীকরণ : আবদুল কাইউম : দৈনিক প্রথম আলো : ১৩ জুলাই ২০১১)। এটা খবরের কাগজের গল্প। এই গল্প হুজুগে বাঙ্গাল মুলুকের মধ্যবিত্ত নাগরিকেরা খুব খায়।
এর বিপরীতে রাস্তার গল্প কিন' অন্য রকম। রাস্তার গল্প হলো- সরকারের যেসব বেজন্মা কার্যকলাপের বিরুদ্ধে (যেমন দুর্নীতি, পুকুরচুরি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাট, লাখো কোটি টাকার জাতীয় সম্পদ তেল-গ্যাস পানির দরে বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দেয়া, শেয়ারবাজারের হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে বিদেশে পাচার করা, রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করে দেশের ভূখণ্ড ও সমুদ্রবন্দরে বিদেশী শক্তিকে ট্রানজিটের নাম করে করিডোর প্রদান করা, রাষ্ট্রের সংবিধানকে ক্ষমতাসীনদের ‘দলীয় গঠনতন্ত্রে’ পরিণত করা ইত্যাদির বিরুদ্ধে) হরতাল হয়, আর সেই হরতালের উৎস সরকারের এসব দেশবিরোধী-গণবিরোধী কার্যকলাপের কারণে যে ক্ষতি হয়, সেই টাকা দিয়ে দেশের ১০ কোটি দরিদ্র মানুষকে এক মাস নয়, সারা বছর খাইয়ে-পরিয়ে সুখে-শান্তিতে রাখা যায়।
খবরের কাগজের গল্প আর রাস্তার গল্পের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। খবরের কাগজের গল্পের মধ্যে হয়তো যৎকিঞ্চিৎ সত্য আছে। কিন' রাস্তার গল্পের মধ্যে আছে তার চেয়ে অনেক বড় সত্য। বাস্তব কথা হলো, হরতালের কারণে দেশের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়, তার চেয়ে হাজার হাজার গুণ বেশি ক্ষতি হয়, সরকারের যেসব কার্যকলাপের বিরুদ্ধে হরতাল হয়, সে সব কার্যকলাপের কারণে। তার পরও দেশের উঁচুদরের কলামিস্টরা, স্বনামধন্য সুশীলেরা এবং বেনিয়া পট্টির রাঘববোয়ালেরা সরকারের দেশবিরোধী গণবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কথা না বলে অথবা নেহাত দায়সারা গোছের কথা বলে একজোট হয়ে হরতালের বিরুদ্ধাচরণকেই দারুণ কর্তব্যজ্ঞান বলে মনে করেন। এর কারণ স্পষ্ট। হরতাল থেকে হয়তো তাদের পাওয়ার কিছু নেই, বরং হারাবার আছে অনেক। এ দিকে রাস্তার গল্পে আরো বলা হয়, হরতাল তো ঠিকমতো পালন হয় না। ঠিকমতো হরতাল পালন হলে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, বাণিজ্য-বেসাতির লেনদেন পুরোপুরি বন্ধ থাকত। তাতে সাধারণ মানুষের কিছুটা ভোগান্তি হলেও শাসক লুটেরা গোষ্ঠীর চুরি, পুকুরচুরি, লুটপাট, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের গলাকাটা ব্যবসায় এসবের কবল থেকে দেশ ও জনগণ অন্তত এক-দুই দিনের জন্য নিরাপদ থাকত। এটাও রাস্তার গল্প এবং এ গল্প খবরের কাগজে ঠাঁই পায় না। এ গল্প হরতালকে উৎসাহিত করার ‘অপরাধ’ হিসেবে গণ্য করা হয়। রাস্তার গল্প এটা মানতে রাজি নয়।
২. দেশ কিভাবে চলছে তার হিসাব-নিকাশ : খবরের কাগজের গল্প অনুযায়ী সরকারদলীয় লোকদের (দলের নেতা-পাতিনেতা ও অস্য-তস্যদের) দৃষ্টিতে দেশ খুব ভালোভাবে চলছে। অর্থনীতিতে ‘প্রবৃদ্ধি’ নামের কুমিরছানা বাড়ছে, আমদানি-রফতানি বাড়ছে (আসলে রফতানির চেয়ে আমদানি বাড়ছে), নগরীর বিলাসবহুল অট্টালিকা-শপিংমলের সংখ্যা বাড়ছে, নতুন নতুন টিভি চ্যানেল হচ্ছে, ফেনসিডিল-হেরোইন-ইয়াবার ব্যবসায়ের উন্নতি হচ্ছে, ডিজুস জেনারেশনের ফুর্তি-ফার্তা বাড়ছে, বহুজাতিক কোম্পানির পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপনের চাকচিক্য বাড়ছে, সরকারি দলের লোকদের শরীরের মেদ ও জেল্লা বাড়ছে। শিশুদের খেলার মাঠ দখল করে সরকারদলীয় লোকদের দালানকোঠা উঠছে। দিনবদল আর ডিজিটাল বাংলাদেশ খুব সুন্দরভাবে চলছে। এগুলোও খবরের কাগজের গল্প।
এর বিপরীতে রাস্তার গল্প শুনুন। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলি। গল্পটি অনেকের কাছে পাগলের প্রলাপ মনে হতে পারে, কিন' আমার খুব মনে ধরেছে। আপনাদেরও খুব মনে ধরবে। এই সেদিন নগরীর ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এক উদ্‌ভ্রান্ত পথচারীর পাল্লায় পড়েছিলাম। চেনা নেই জানা নেই, সেই পক্বকেশধারী পথচারী আচম্বিতে এক প্রশ্ন উত্থাপন করে বললেন, ‘ভাই সাহেব, জানেন তো, কবি শামসুর রাহমানের দেশ উটের পিঠে চলত। উটকে বলা হয় মরুভূমির জাহাজ। তাও তো ভালো, দেশ তখন চড়াই-উতরাই করে হলেও জাহাজের পিঠে করে চলত। এবার বলুন তো দেশ এখন কিভাবে চলছে? কী জবাব দেবো ভাবতে ভাবতে ভদ্রলোক নিজেই উত্তর দিলেন- ‘দেশ এখন চলছে দুর্ঘটনাকবলিত মিরসরাইয়ের বাসের মতো।’ আমি বললাম কী রকম? জবাবে তিনি বললেন, ‘বুঝলেন না, দেশ চলছে হেলপার দিয়ে, কোনো ড্রাইভার নেই।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর জেনারেল জিয়া আর যা-ই হোক হেলপার ছিলেন না, তারা ছিলেন ড্রাইভার, রাষ্ট্রের পরিচালক। এখন দেখেন, যেসব লোকেরা দেশ চালাচ্ছেন তারা কেউই ড্রাইভার নন, সবাই হেলপার। তার ওপর আবার মুঠোফোন নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন তারা। এ জন্যই দেশের আজ এই দশা।’ 
উদ্‌ভ্রান্ত লোকটি একদমে কথাগুলো বলে মিলিটারি প্যারেডের কায়দায় অ্যাবাউট টার্ন করে পাশের রেললাইন ধরে অন্ধকারে হেঁটে চলে গেলেন। লোকটা শিক্ষিত পাগল হবে হয়তো বা। ‘পাগলেরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কত কিছুই কহে বলেই তো রাস্তার গল্প তৈরি হয়ে যায়।’ খবরের কাগজে এসব গল্প জায়গা পায় না। 
৩. বিরোধী দলের আন্দোলনের হিসাব-নিকাশ : এবার বিরোধী দলের আন্দোলনের ‘গল্পে’ আসা যাক। বিরোধী দল যখন ক্ষমতার বাইরে থাকে তখন জনগণ তাদের কাছে দলীয় স্বার্থের রাজনীতির পরিবর্তে জাতীয় স্বার্থকেন্দ্রিক রাজনীতি প্রত্যাশা করে। কিন' সে রাজনীতি যদি নিছক দলের ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি, এমনকি জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে আপস করে অথবা নির্লিপ্ত থেকে শুধু ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি হয়, তাহলে জনগণ হতাশ হয়। এখন বিরোধী দলের আজকের রাজনীতি নিয়ে খবরের কাগজের এবং রাস্তার কিছু গল্প শোনা যাক।
দেশের প্রধান বিরোধী দল আজ সরকারের সংবিধান নিয়ে স্বেচ্ছাচার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস'া বাতিল ও সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস'া বাতিলের বিরুদ্ধে এবং ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। সরকার বিরোধী দলের এ আন্দোলন ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমনের চেষ্টা করছে। এভাবে ক্ষমতান্ধ সরকার যদি বিরোধী দল ও জনগণের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখে, তাহলে রাজপথ ক্রমেই আরো বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। সে ক্ষেত্রে ১/১১-এর মতো বা তার চেয়েও ভয়াবহ কোনো অঘটন না ঘটলে আন্দোলন একপর্যায়ে চরমে পৌঁছে ’৯০-এর মতো অথবা তার চেয়েও বড় অভ্যুত্থানে রূপ নিতে পারে। তাতে বর্তমান সরকারের পতনের মাধ্যমে রাজনীতিতে নতুন পটপরিবর্তন ঘটতে পারে। এ রকম একটি প্রত্যাশা ইতোমধ্যে জনমনে তৈরিও হচ্ছে। বলা যায়, বিরোধী দলের আন্দোলন নিয়ে এগুলোই হচ্ছে এ সময়কার খবরের কাগজের গল্প।
কিন' এর বিপরীতে রাস্তার গল্প হলো, বিরোধী দল সরকারের ‘চাণক্য’ চালে পড়ে গতানুগতিক খুচরা (সাবসিডিয়ারি) ইস্যুর আন্দোলনের ফাঁদে আটকা পড়েছে। দেশের রাজনীতি ও সার্বিক পরিসি'তি আজ স্মরণাতীতকালের ভয়াবহ সঙ্কটে নিপতিত। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব আজ বিপন্ন। ডাকনামে যে বাংলাদেশকে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র বলে জানি, তার অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। ভারতীয় শাসক-শোষকগোষ্ঠী ও তাদের এ দেশীয় দালাল রাজনীতিক-সুশীল-বুদ্ধিজীবীদের চাণক্য রাজনীতির অধীনে ‘ট্রানজিট’ নামের এক প্রতারণামূলক বয়ান কূটকৌশলে জনগণকে গিলিয়ে বর্তমান সরকার ভারতকে তার এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে (যুদ্ধ-সঙ্ঘাত-সংক্ষুব্ধ অঞ্চলে) অবাধ যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশের স'ল ও জল ভূখণ্ডে এবং সমুদ্রবন্দরে করিডর দেয়ার সব আয়োজন চূড়ান্ত করে ফেলেছে। যে রাষ্ট্রটি অনেক রক্ত, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে, সেই স্বাধীন বাংলাদেশ অচিরেই পরিণত হতে চলেছে ভারতের করিডোর রাষ্ট্রে। ভারতকে করিডোর দিলে ‘দেশ আর্থিকভাবে বিরাট লাভবান হবে, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হবে’- এরূপ মিথ্যা প্রতারণামূলক প্রচারণা বহু আগে থেকেই চালানো হচ্ছে। কিন' প্রকৃত অবস'া হচ্ছে, ভারতকে করিডোর দিলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্য মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে। দেশের নিজস্ব উৎপাদন ও সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত হবে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে। নেপাল-ভুটানের সাথে ট্রানজিট আর ভারতকে দেয়া করিডোর এই দুটোকে এক বস' বানিয়ে ‘বাঙ্গাল’কে হাইকোর্ট দেখানো হচ্ছে।
অন্য দিকে এ সরকার দেশের সমুদ্রাঞ্চলের তেল-গ্যাসের ১০ ও ১১ নম্বর ব্লক দাসত্বমূলক চুক্তির মাধ্যমে বহুজাতিক কোম্পানি কনোকো-ফিলিপসের হাতে তুলে দিয়েছে। অন্য আরেকটি ব্লক (৫ নম্বর ব্লক), যেটি সরকার এর আগে টেন্ডারের মাধ্যমে টাল্লু কোম্পানিকে ইজারা দেয়ার প্রস'তি সম্পন্ন করেছিল, সেটি বিনাবাধায় বিনাপ্রতিবাদে ভারত তার দখলে নিয়ে নিয়েছে। সমগ্র দেশ ও জাতির এরূপ ভয়াবহ অবস'াকে আড়াল করার উদ্দেশে সংবিধানে বিসমিল্লাহ, রাষ্ট্রধর্ম, আল্লাহর ওপর আস'া, ধর্মনিরপেক্ষতা ইত্যাদি বিতর্ক এবং সেই সাথে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস'া বাতিল, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা- এগুলো সবই হচ্ছে দেশী-বিদেশী প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির পরিকল্পিতভাবে তৈরী ‘বাইপ্রোডাক্ট’ ইস্যু।
অথচ দেশের প্রধান বিরোধী দলের আন্দোলনে আজকের গুরুতর জাতীয় ইস্যুর কোনো নামগন্ধ নেই। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ যেখানে সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোম্পানির দখলে চলে যাচ্ছে, করিডোরের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব যেখানে প্রতিবেশী বৃহৎ রাষ্ট্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ছে- আর এভাবে দেশের অস্তিত্বই আজ যখন বিপন্ন, তখন জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে নিবদ্ধ রাখার জন্য বিরোধী দলকে ঠেলে দেয়া হয়েছে ‘বাইপ্রোডাক্ট’ ইস্যু নিয়ে আন্দোলনে। বিরোধী দলকে বোকা কুমির বানিয়ে ঠেলে দেয়া হয়েছে শেয়ালের ঠ্যাং ছেড়ে লাঠি কামড়ে ধরার রাজনীতিতে। দেশের সম্পদ যদি হাতছাড়া হয়ে যায়, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব যদি না থাকে, নিজের রাষ্ট্র যদি অন্যের করিডোরে পরিণত হয়, তাহলে সংবিধানে বিসমিল্লাহ, রাষ্ট্রধর্ম, আল্লাহর ওপর আস'া কিংবা সমাজতন্ত্র-ধর্মনিরপেক্ষতা এসব দিয়ে কী হবে? তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন দিয়েই বা কী হবে? পরাধীন দেশে দাসত্বের শৃঙ্খল পরে ক্ষমতায় গিয়ে কী হবে শুনি? এগুলো খবরের কাগজের গল্প নয়, এগুলো সব রাস্তার গল্প।
উপসংহার : রাস্তার সর্বশেষ গল্প হলো, দেশের মানুষ আর দাসত্বের বিনিময়ে ক্ষমতার রাজনীতি দেখতে চায় না। জনগণ চায় একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। জনগণ দলীয় সংবিধান ও দলীয় শাসনের পরিবর্তে চায় জনগণের সংবিধান ও জনগণের শাসন। জনগণের এই আকাঙক্ষা পূরণ খবরের কাগজের গতানুগতিক গল্প দিয়ে সম্ভব নয়। তার জন্য দরকার রাস্তার গল্পের। আর রাস্তার গল্প মানেই তরুণ প্রজন্ম ও আবালবৃদ্ধবনিতার মহাজাগরণ। রাস্তার গল্প মানে জনতার মহা উত্থান। রাস্তার গল্প মানেই আসল লড়াই। বিরোধী দলগুলোর সেই হুঁশ হবে কি?
লেখক : রাজনীতিক, কলামিস্ট

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন