শনিবার, ২৩ মে, ২০২০

মশা ও মানুষঃ প্রেক্ষিত নাস্তিকতা - নিমু মাহবুব

কিছু মানুষ আছে যারা বলে, "যা দেখিনা তা মানি না। 
সুতরাং সৃষ্টিকর্তাকে দেখিনা, তাই সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নেই।"
কিন্তু তাদের আকল একটা মশার চেয়েও আড়ষ্ট। কারণ মশাও না দেখে অনেক কিছু বিশ্বাস করে। যেমন আমাদের চামড়ার নিচে যে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে মশা কিন্তু তা না দেখেই একশভাগ বিশ্বাস করে।

♣ মশার কিছু আশ্চর্য্য ক্ষমতা জেনে নেয়া যাক।

♦ আমাদের নিঃশ্বাসের মাধ্যমে মশারা আমাদের উপস্থিতি টের পায়। মানে আমরা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে যে কার্বন ডাই- অক্সাইড ত্যাগ করি তা থেকে যে ঘ্রাণ বের হয় তা আমরা টের না পেলেও মশা কিন্তু টের পায়।

♦ আমাদের ঘাম থেকেও মশারা আমাদেরকে খুঁজে পায়।

♦ মশারা কিন্তু আমাদের চামড়ার নিচের রক্তের গ্রুপের টাইপও ধরতে পারে। অথচ মানুষ পরীক্ষা করার আগে তা জানতে পারেনা। মশা "ও" গ্রুপের রক্তধারীদের ২ গুন বেশি কামড়ায় "এ" গ্রুপধারীদের চেয়ে।

♦ শুধু মহিলা মশাই আমাদের রক্ত খায়। পুরুষরা আমাদের আশেপাশে তেমন একটা ঘেঁষে না।

♦আপনি কি কখনো বংশ বৃদ্ধির জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নিবেন? মশারা এমন একটা প্রাণী যারা বংশ বৃদ্ধির জন্য জীবনের ঝুঁকি নেয়। মানে মশার ডিম পাড়ার জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন হয় যা সহজেই মশা পায় মানুষ ও প্রাণীর রক্তে।

♦ মশা ঘুমন্ত আর জাগ্রত মানুষের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। আমরা অনেক সময়ই ব্যর্থ হই।

♦ ১৫০ ফুটেরও অধিক দূর থেকে মশা আমাদের নিঃশ্বাসের গন্ধ টের পায়। ৩০ ফুটেরও অধিক দূর থেকে মশা আমাদের সরাসরি দেখতে পায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন