মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০

অনু গল্পঃ পুলিশি রিমান্ড

 


হইতকালে আঙ্গো গেরামে ওগ্গা ছোড নাইল গাছ আছিলো। হিগা কেলাস হাইবে হইড়তো। হিগার লগে তাল গাছের লাইন আছিলো। একদিন নাইল গাছগা তাল গাছের লগে হলাই যাই বিয়া করি হালায়। ইয়ান্দি নাইল গাছের মা- বাপ হিগারে টোগাই না হাই কান্দি- কাডি কইলজা হাডা হালায়। হরে হিগার বায় তিনগা সুয়ারি গাছের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করি দেয়। হুলিশ সুয়ারি গাছ হগলেরে ধরি লই যায়। হেইয়ার হরে হেগুনেরে হুলিশ রিমান্ডে নেয়। রিমান্ড শেষ অইলে হেগুনে কয় "আন্রা বেগ্গুনে মিলি নাইল গাছেরে মারি হালাইছি।  নাইল গাছের লাশ কাডি- কুডি খালে হালাই দিছি।" 

ইয়ান্দি ক'দিন হরে নাইল গাছের হিগার মা- বাপের লাই কইলজা জ্বলি যায়। হেয়াল্লাই বুলি হিগা হোন করিব হিগার মারে কয়, "মা, আঁই মরি নো। আঁই তাল গাছেরে বিয়া কইচ্ছি। অন তোঁগ্গোল্লাই আঁর হরান হুড়ি যায়। আঁই বাইত চলি আইয়াম"। এই কতা কই নাইল গাছ হিগার মা- বায়ের কাছে চলি আইয়ে। হুলিশ হিগার জামাই তাল গাছেরে ধরি লই যায়।  হিয়ার হরে তাল গাছেরে তিন দিন রিমান্ডে নেয় হুলিশ। এই ঘটনার হরে সুয়ারি গাছ হগলের ক'লে কি অইছে হেইটা কেও কইতো হাইত্তেছেনা।

© কপি রাইট Nimu Mahubu

কপি করা অমার্জনীয়। 

বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০

সুশীল মুসল্লি

 সুশীল মুসল্লি সাজতে চাইলাম। তাই হানাফি মাজহাবের বিপরীতে গিয়ে ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়তে শুরু করছিলাম। কারণ হাদিসে আছে,  "সূরা ফাতেহা না পড়লে সালাত হয়না"। এ ক্ষেত্রে, "যার ইমাম রয়েছে, ইমামের কিরাতই তার কিরাত" কে থোড়াই কেয়ার করলাম। ইমামও পড়ে আমিও পড়ি। 

কিন্তু সুশীলগিরী আমার বেশিদিন সইল না।

 কারণ ইমামের সাথে আমার প্রায়ই মিলেনা। কেমন জানি গোলমাল লেগে যায়। কিছুদিন পর জেহরি সালাতে ফাতিহা পড়া ছেড়ে দিলাম। কারণ "যখন কুরআন পড়া হয় তখন তোমরা মনোযোগ দিয়ে তা শোনো ও চুপ থাকো" (আরাফ-২০৪) আমাকে শান্তি দিলোনা। কিন্তু আমাকে তো সুশীল মুসল্লি হতে হবে। তো? এবার যে সব সালাতে ইমাম আস্তে ক্বিরাত পড়ে সে সব সালাতে ফাতিহা পড়া শুরু করলাম। বিপত্তি তাতে গেল না। দেখলাম আমি ফাতিহার দু- তিন আয়াত পড়ার আগেই ইমাম সাহেব রুকুতে চলে যান। আমাকে মাঝ পথে থেমে যেতে হয়। কারণ আমি ইমাম সাহেবের মত দ্রুত পড়তে পারিনা। দ্রুত পড়তে গেলেই " কুরআন পড় ধীরে ধীরে স্পষ্টভাবে ও সুন্দরভাবে " (মুজ্জাম্মিল-৪)  আমাকে বারেবার চোখ রাঙ্গায়। আমি ভয় পেয়ে যাই। তদুপরি ওই হাদিসটি মনে পড়ে যায় যেটাতে বলা আছে, সুরা ফাতিহা যখন পড়া হয় তখন মহান আল্লাহ প্রতিটি আয়াত পড়ার পরে জবাব দিয়ে থাকেন। তো প্রতিটি আয়াতের পরে আমাকে ওয়াকফ করতে হয়। 

এখন আমি কি করবো? সুশীল মুসল্লি হতে পারলাম না। তাই আপাতত হানাফিতেই সমাধান।