পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬

আয যারিয়াত

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
وَالذَّارِيَاتِ ذَرْوًا
১) শপথ সে বাতাসের যা ধূলাবালি উড়ায়৷
﴿فَالْحَامِلَاتِ وِقْرًا﴾
২) আবার পানি ভরা মেঘরাশি বয়ে নিয়ে যায়
﴿فَالْجَارِيَاتِ يُسْرًا﴾
৩) তারপর ধীর মৃদুমন্দ গতিতে বয়ে যায়৷
﴿فَالْمُقَسِّمَاتِ أَمْرًا﴾
৪) অতপর একটি বড় জিনিস (বৃষ্টি) বন্টন করে৷
﴿إِنَّمَا تُوعَدُونَ لَصَادِقٌ﴾
৫) প্রকৃত ব্যাপার হলো, তোমাদেরকে যে জিনিসের ভীতি প্রদির্শন করা হচ্ছে  তা সত্য৷
﴿وَإِنَّ الدِّينَ لَوَاقِعٌ﴾
৬) কর্মফল প্রদানের সময় অবশ্যই আসবে৷
﴿وَالسَّمَاءِ ذَاتِ الْحُبُكِ﴾
৭) শপথ বিবিধ আকৃতি ধারণকারী আসমানের৷
﴿إِنَّكُمْ لَفِي قَوْلٍ مُّخْتَلِفٍ﴾
৮) (আখেরাত সম্পর্কে) তোমাদের কথা পরস্পর ভিন্ন৷
﴿يُؤْفَكُ عَنْهُ مَنْ أُفِكَ﴾
৯) তার ব্যাপারে সে-ই বিরক্ত যে হকের প্রতি বিমুখ৷
﴿قُتِلَ الْخَرَّاصُونَ﴾
১০) ধ্বংস হয়েছে অনুমান ও ধারণার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা,
﴿الَّذِينَ هُمْ فِي غَمْرَةٍ سَاهُونَ﴾
১১) যারা অজ্ঞতায় নিমজ্জিত এবং গাফলতিতে বিভোর৷
﴿يَسْأَلُونَ أَيَّانَ يَوْمُ الدِّينِ﴾
১২) তারা জিজ্ঞেস করে, তবে সেই কর্মফল দিবস কবে আসবে ?
﴿يَوْمَ هُمْ عَلَى النَّارِ يُفْتَنُونَ﴾
১৩) তা সেদিন আসবে যেদিন তাদের আগুনে ভাজা হবে৷ ১০
﴿ذُوقُوا فِتْنَتَكُمْ هَٰذَا الَّذِي كُنتُم بِهِ تَسْتَعْجِلُونَ﴾
১৪) (এদের বলা হবে) এখন তোমাদের ফিতনার ১১ স্বাদ গ্রহণ করো৷ এটা সেই বস্তু যার জন্য তোমরা তাড়াহুড়া করছিলে৷১২
﴿إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ﴾
১৫) তবে মুত্তাকীরা ১৩ সেদিন বাগান ও ঝর্ণাধারার মধ্যে অবস্থান করবে৷
﴿آخِذِينَ مَا آتَاهُمْ رَبُّهُمْ ۚ إِنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَ ذَٰلِكَ مُحْسِنِينَ﴾
১৬) তাদের রব যা কিছু তাদের দান করবেন তা সানন্দে গ্রহণ করতে থাকবে৷ ১৪ সেদিনটি আসার পূর্বে তারা ছিল সৎকর্মশীল৷
﴿كَانُوا قَلِيلًا مِّنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ﴾
১৭) রাতের বেলা তারা কমই ঘুমাতো৷ ১৫
﴿وَبِالْأَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُونَ﴾
১৮) তারপর তারাই আবার রাতের শেষ গ্রহরগুলোতে ক্ষমা প্রার্থনা করতো৷ ১৬
﴿وَفِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِّلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ﴾
১৯) তাদের সম্পদে অধিকার ছিল প্রার্থী ও বঞ্চিতদের৷১৭
﴿وَفِي الْأَرْضِ آيَاتٌ لِّلْمُوقِنِينَ﴾
২০) দৃঢ় প্রত্যয় পোষাণকারীদের জন্য পৃথিবীতে বহু নিদর্শন করেছে৷ ১৮
﴿وَفِي أَنفُسِكُمْ ۚ أَفَلَا تُبْصِرُونَ﴾
২১) এবং তোমাদের সত্তার মধ্যেও৷ ১৯ তোমরা কি দেখ না?
﴿وَفِي السَّمَاءِ رِزْقُكُمْ وَمَا تُوعَدُونَ﴾
২২) আসমানেই রয়েছে তোমাদের রিযিক এবং সে জিনিসও যার প্রতিশ্রুতি তোমাদের দেয়া হচ্ছে৷২০
﴿فَوَرَبِّ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ إِنَّهُ لَحَقٌّ مِّثْلَ مَا أَنَّكُمْ تَنطِقُونَ﴾
২৩) তাই আসমান ও যমীনের মালিকের শপথ, একথা সত্য এবং তেমনই নিশ্চিত যেমন তোমরা কথা বলছো৷
﴿هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ ضَيْفِ إِبْرَاهِيمَ الْمُكْرَمِينَ﴾
২৪) হে নবী, ২১ ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের কাহিনী কি তোমার কাছে পৌঁছেছে?২২
﴿إِذْ دَخَلُوا عَلَيْهِ فَقَالُوا سَلَامًا ۖ قَالَ سَلَامٌ قَوْمٌ مُّنكَرُونَ﴾
২৫) তারা যখন তার কাছে আসলো, বললোঃ আপনার প্রতি সালাম৷ সে বললোঃ “আপনাদেরকেও সালাম- কিছু সংখ্যক অপরিচিত লোক৷ ২৩
﴿فَرَاغَ إِلَىٰ أَهْلِهِ فَجَاءَ بِعِجْلٍ سَمِينٍ﴾
২৬) পরে সে নীরবে তার পরিবারের লোকদের কাছে গেল ২৪ এবং একটা মোটা তাজা বাছুর ২৫
﴿فَقَرَّبَهُ إِلَيْهِمْ قَالَ أَلَا تَأْكُلُونَ﴾
২৭) এনে মেহমানদের সামনে পেশ করলো৷ সে বললোঃ আপনারা খান না কেন?
﴿فَأَوْجَسَ مِنْهُمْ خِيفَةً ۖ قَالُوا لَا تَخَفْ ۖ وَبَشَّرُوهُ بِغُلَامٍ عَلِيمٍ﴾
২৮) তারপর সে মনে মনে তাদের ভয় পেয়ে গেল৷ ২৬ তারা বললোঃ ভয় পাবেন না৷ তাছাড়া তারা তাকে এক জ্ঞানবান পুত্র সন্তান জন্মের সুসংবাদ দিল৷ ২৭
﴿فَأَقْبَلَتِ امْرَأَتُهُ فِي صَرَّةٍ فَصَكَّتْ وَجْهَهَا وَقَالَتْ عَجُوزٌ عَقِيمٌ﴾
২৯) একথা শুনে তার স্ত্রী চিৎকার করতে করতে অগ্রসর হলো৷ সে আপন গালে চপেটাঘাত করে বললোঃ বুড়ী বন্ধ্যা৷ ২৮
﴿قَالُوا كَذَٰلِكِ قَالَ رَبُّكِ ۖ إِنَّهُ هُوَ الْحَكِيمُ الْعَلِيمُ﴾
৩০) তারা বললোঃ তোমার রব একথাই বলেছেন৷ তিনি মহাজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ৷ ২৯
﴿قَالَ فَمَا خَطْبُكُمْ أَيُّهَا الْمُرْسَلُونَ﴾
৩১) ইবরাহীম বললোঃ হে আল্লাহর প্রেরিত দূতগণ, আপনাদের অভিপ্রায় কি ? ৩০
﴿قَالُوا إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَىٰ قَوْمٍ مُّجْرِمِينَ﴾
৩২) তারা বললোঃ আমাদেরকে একটি পাপী জাতির কাছে পাঠানো হয়েছে৷ ৩১
﴿لِنُرْسِلَ عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِّن طِينٍ﴾
৩৩) যাতে আমরা তাদের ওপর পোড়ানো মাটির পাথর বর্ষণ করি৷
﴿مُّسَوَّمَةً عِندَ رَبِّكَ لِلْمُسْرِفِينَ﴾
৩৪) যা আপনার রবের কাছে সীমালংঘনকারীদের জন্য চিহ্নিত আছে৷ ৩২
﴿فَأَخْرَجْنَا مَن كَانَ فِيهَا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ﴾
৩৫) অতপর ৩৩ ঐ জনপদে যারা মু’মিন ছিলো তাদের সবাইকে বের করে নিলাম৷
﴿فَمَا وَجَدْنَا فِيهَا غَيْرَ بَيْتٍ مِّنَ الْمُسْلِمِينَ﴾
৩৬) আমি সেখানে একটি পরিবার ছাড়া আর কোন মুসলিম পরিবার পাইনি৷৩৪
﴿وَتَرَكْنَا فِيهَا آيَةً لِّلَّذِينَ يَخَافُونَ الْعَذَابَ الْأَلِيمَ﴾
৩৭) অতপর যারা কঠোর আযাবকে ভয় করে তাদের জন্য সেখানে একটি নিদর্শন রেখে দিয়েছি৷ ৩৫
﴿وَفِي مُوسَىٰ إِذْ أَرْسَلْنَاهُ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ بِسُلْطَانٍ مُّبِينٍ﴾
৩৮) এ ছাড়া (তোমাদের জন্য নিদর্শন আছে) মূসার কাহিনীতে৷ আমি যখন তাকে স্পষ্ট প্রমাণসহ ফেরাউনের কাছে পাঠালাম ৩৬
﴿فَتَوَلَّىٰ بِرُكْنِهِ وَقَالَ سَاحِرٌ أَوْ مَجْنُونٌ﴾
৩৯) তখন সে নিজের শক্তিমত্তার ওপর গর্ব প্রকাশ করলো এবং বললোঃ এ তো যাদুকর কিংবা পাগল৷ ৩৭
﴿فَأَخَذْنَاهُ وَجُنُودَهُ فَنَبَذْنَاهُمْ فِي الْيَمِّ وَهُوَ مُلِيمٌ﴾
৪০) অবশেষে আমি তাকে ও তার সৈন্যদেরকে পাকড়াও করলাম এবং সবাইকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম৷ আর সে তিরস্কৃত ও নিন্দিত হলো৷ ৩৮
﴿وَفِي عَادٍ إِذْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الرِّيحَ الْعَقِيمَ﴾
৪১) তাছাড়া (তোমাদের জন্য নিদর্শন আছে) আদ জাতির মধ্যে যখন আমি তাদের ওপর এমন অশুভ বাতাস পাঠালাম যে,
﴿مَا تَذَرُ مِن شَيْءٍ أَتَتْ عَلَيْهِ إِلَّا جَعَلَتْهُ كَالرَّمِيمِ﴾
৪২) তা যে জিনিসের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলো তাকেই জরাজীর্ণ করে ফেললো৷ ৩৯
﴿وَفِي ثَمُودَ إِذْ قِيلَ لَهُمْ تَمَتَّعُوا حَتَّىٰ حِينٍ﴾
৪৩) তাছাড়া (তোমাদের জন্য নিদর্শন আছে) সামূদ জাতির মধ্যে৷ যখন তাদের বলা হয়েছিলো, যে, একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মজা লুটে নাও৷ ৪০
﴿فَعَتَوْا عَنْ أَمْرِ رَبِّهِمْ فَأَخَذَتْهُمُ الصَّاعِقَةُ وَهُمْ يَنظُرُونَ﴾
৪৪) কিন্তু এ সতর্কীকরণ সত্ত্বেও তারা তাদের রবের হুকুম অমান্য করলো৷ অবশেষে তারা দেখতে দেখতে অকস্মাত আগমনকারী আযাব ৪১ তাদের ওপর আপতিত হলো৷
﴿فَمَا اسْتَطَاعُوا مِن قِيَامٍ وَمَا كَانُوا مُنتَصِرِينَ﴾
৪৫) এরপর উঠে দাঁড়ানোর শক্তিও তাদের থাকলো না এবং তারা নিজেদের রক্ষা করতেও সক্ষম ছিল না৷৪২
﴿وَقَوْمَ نُوحٍ مِّن قَبْلُ ۖ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا فَاسِقِينَ﴾
৪৬) আর এদের সবার পূর্বে আমি নূহের কওমকে ধ্বংস করেছিলাম৷ কারণ তারা ছিল ফাসেক৷
﴿وَالسَّمَاءَ بَنَيْنَاهَا بِأَيْدٍ وَإِنَّا لَمُوسِعُونَ﴾
৪৭) আসমানকে ৪৩ আমি নিজের ক্ষমতায় বানিয়েছি এবং সে শক্তি আমার আছে৷ ৪৪
﴿وَالْأَرْضَ فَرَشْنَاهَا فَنِعْمَ الْمَاهِدُونَ﴾
৪৮) যমীনকে আমি বিছিয়ে দিয়েছি৷ আমি উত্তম সমতলকারী৷৪৫
﴿وَمِن كُلِّ شَيْءٍ خَلَقْنَا زَوْجَيْنِ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ﴾
৪৯) আমি প্রত্যেক জিনিসের জোড়া বানিয়েছি৷ ৪৬ হয়তো তোমরা এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে৷৪৭
﴿فَفِرُّوا إِلَى اللَّهِ ۖ إِنِّي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ مُّبِينٌ﴾
৫০) অতএব আল্লাহর দিকে ধাবিত হও৷ আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমার জন্য স্পষ্ট সাবধানকারী৷
﴿وَلَا تَجْعَلُوا مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ ۖ إِنِّي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ مُّبِينٌ﴾
৫১) আল্লাহর সাথে আর কউকে উপাস্য বানাবে না৷ আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য স্পষ্ট সাবধানকারী৷ ৪৮
﴿كَذَٰلِكَ مَا أَتَى الَّذِينَ مِن قَبْلِهِم مِّن رَّسُولٍ إِلَّا قَالُوا سَاحِرٌ أَوْ مَجْنُونٌ﴾
৫২) এভাবেই হয়ে এসেছে৷ এদের পূর্ববর্তী জাতিসমূহের কাছেও এমন কোন রসূল আসেনি যাকে তারা যাদুকর বা পাগল বলেনি৷ ৪৯
﴿أَتَوَاصَوْا بِهِ ۚ بَلْ هُمْ قَوْمٌ طَاغُونَ﴾
৫৩) এরা কি এ ব্যাপারে পরস্পর কোন সমঝোতা করে নিয়েছে ? না, এরা সবাই বরং বিদ্রোহী৷ ৫০
﴿فَتَوَلَّ عَنْهُمْ فَمَا أَنتَ بِمَلُومٍ﴾
৫৪) অতএব, হে নবী, তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও৷ এ জন্য তোমার প্রতি কোন তিরস্কার বাণী নেই৷ ৫১
﴿وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَىٰ تَنفَعُ الْمُؤْمِنِينَ﴾
৫৫) তবে উপদেশ দিতে থাকো৷ কেননা, উপদেশ ঈমান গ্রহণকারীদের জন্য উপকারী৷৫২
﴿وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ﴾
৫৬) জিন ও মানুষকে আমি শুধু এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার দাসত্ব ৫৩ করবে৷
﴿مَا أُرِيدُ مِنْهُم مِّن رِّزْقٍ وَمَا أُرِيدُ أَن يُطْعِمُونِ﴾
৫৭) আমি তাদের কাছে কোন রিযিক চাই না কিংবা তারা আমাকে খাওয়াবে ৫৪ তাও চাই না৷
﴿إِنَّ اللَّهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ﴾
৫৮) আল্লাহ নিজেই রিযিকদাতা এবং অত্যন্ত শক্তিধর ও পরাক্রমশালী৷৫৫
﴿فَإِنَّ لِلَّذِينَ ظَلَمُوا ذَنُوبًا مِّثْلَ ذَنُوبِ أَصْحَابِهِمْ فَلَا يَسْتَعْجِلُونِ﴾
৫৯) তাই যারা জুলুম করেছে ৫৬ তাদের প্রাপ্য হিসেবে ঠিক তেমনি আযাব প্রস্তুত আছে যেমনটি এদের মত লোকেরা তাদের অংশ পুরো লাভ করেছে৷ সে জন্য এসব লোক যেন আমার কাছে তাড়াহুড়ো না করে৷৫৭
﴿فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ كَفَرُوا مِن يَوْمِهِمُ الَّذِي يُوعَدُونَ﴾
৬০) যেদিনের ভয় তাদের দেখানো হচ্ছে পরিণামে সেদিন তাদের জন্য ধ্বংস রয়েছে৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন