মা দিবস
শিল্পী
মনির খান মাকে নিয়ে দারুণ একটি গান গেয়েছেন, “যদি তিন ভুবনের সমস্ত সুখ আমায় দিতে চাও/
বিনিময়ে তোমরা আমার মা’কে কেড়ে নাও/ আমি চাইবোনা সে সুখ। যদি হাজার দুঃখ আসে/ মা থাকলে
আমার পাশে/ সেইতো হবে আশ্রয় আমার মায়ের শীতল বুক/ আমি চাই শুধু সে সুখ।প্রত্যেক বছরের
মত এবারো ‘মা’ দিবসকে নিয়ে মিডিয়া মোটামুটি সরগরম ছিল। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে
বিশেষ রিপোর্ট ও অনুষ্ঠানমালা ছিল।তবে সবচেয়ে সরব ছিল ফেসবুক।এদিন অনেকেই মা’কে বিশেষ
উপহার দিয়ে থাকেন। অনেকে তাকে খুশি করতে আলাদা যত্ন নিয়ে থাকেন।অনেকে “মা আমি তোমায়
ভালোবাসি” কথাটি প্রকাশ্যে বলতে পারেননা। তাই বলে
তারা মাকে কম ভালোবাসেন এটা ভাবার কোন সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে মৌখিক ভালোবাসার
চেয়ে কাজের মাধ্যমে তার বহিঃপ্রকাশই শ্রেয়তর।যা-ইহোক, পৃথিবীতে মায়ের চেয়ে আপন বা দরদী
আর কেউ হতে পারেনা। মাকে কোন বিশেষণে বিশেষিত করা যায়না।এ মায়ের প্রতি বিশেষ একটা দিনের
লৌকিক আবেগ, মায়া, দরদ বা ভালোবাসা কোনটাই যখেষ্ট নয়। বরং সেদিনই মায়ের প্রতি প্রকৃত
ভালোবাসা ও আদরের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে যেদিন বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও বৃদ্ধাশ্রম বলে কিছু
থাকবেনা। কারন এসব বৃদ্ধাশ্রম মনে করিয়ে দেয় যে সভ্য জগতের কতটা অসভ্য প্রাণী আমরা।
জীবনের বাঁকে বাঁকে বিভাগে শেখ মো: কেফায়েতের উপদেশ ও অনুরোধ সবার মনে রাখা কর্তব্য।এক্ষেত্রে
একটি গল্প না বলে পারছিনা।গল্পটি আমাদের লক্ষীপুর- নোয়খালীর গ্রামীন সমাজে বেশ প্রচলিত।এক
পড়ন্ত বিকেলের অবসরে বউ শাশুড়ি গল্প করতেছেন। একপর্যায়ে শাশুড়ি বউকে বললেন, বউমা আমার
পিঠটা ছুলকাচ্ছে তুমি একটু আঁচড়িয়ে দাও।আচঁড়ানোর জন্য বউ যতবারই হাত উঠাতে চাচ্ছে ততবারই
তার পা আসছে।অবশেষে বউ তা শাশুড়িকে জানাল। শাশুড়ি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, দাও পা দিয়েই
আচঁড়াও। আমিও অমার শাশুড়িকে পা দিয়েই………। আসুন
শুধু বিশেষ কোন দিনে নয় ৩৬৫ দিনই মা’কে সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি, আদর করি আর ভালোবাসি।
মনির খানের গানের মত মা-ই যেন হন আমাদের সুখ-দুঃখের একমাত্র আধার।
(নয়াদিগন্তের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন অবকাশে প্রকাশিত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন