শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬

আন নাবা

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
عَمَّ يَتَسَاءَلُونَ﴾
১) এরা কি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ?
﴿عَنِ النَّبَإِ الْعَظِيمِ﴾
২) 2 সেই বড় খবরটা সম্পর্কে কি ,
﴿الَّذِي هُمْ فِيهِ مُخْتَلِفُونَ﴾
৩) যে ব্যাপারে এরা নানান ধরনের কথা বলে ও ঠাট্টা - বিদ্রুপ করে ফিরছে ?
﴿كَلَّا سَيَعْلَمُونَ﴾
৪) কখনো না শীঘ্রই এরা জানতে পারবে৷
﴿ثُمَّ كَلَّا سَيَعْلَمُونَ﴾
৫) হাঁ কখখনো না , শীঘ্রই এরা জানতে পারবে৷
﴿أَلَمْ نَجْعَلِ الْأَرْضَ مِهَادًا﴾
৬) একথা কি সত্য নয় , আমি যমীনকে বিছানা বানিয়েছি ?
﴿وَالْجِبَالَ أَوْتَادًا﴾
৭) পাহাড়গুলোকে গেঁড়ে দিয়েছি পেরেকের মতো ?
﴿وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا﴾
৮) তোমাদের (নারী ও পুরুষ ) জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি ?
﴿وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًا﴾
৯) তোমাদের ঘুমকে করেছি শান্তির বাহন ,
﴿وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ لِبَاسًا﴾
১০) রাতকে করেছি আবরণ
﴿وَجَعَلْنَا النَّهَارَ مَعَاشًا﴾
১১) এবং দিনকে জীবিকা আহরণের সময় ?
﴿وَبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا﴾
১২) তোমাদের ওপর সাতটি মজবুত আকাশ স্থাপন করেছি
﴿وَجَعَلْنَا سِرَاجًا وَهَّاجًا﴾
১৩) এবং একটি অতি উজ্জ্বল ও উত্তপ্ত বাতি সৃষ্টি করেছি ? ১০
﴿وَأَنزَلْنَا مِنَ الْمُعْصِرَاتِ مَاءً ثَجَّاجًا﴾
১৪) আর মেঘমালা থেকে বর্ষণ করেছি অবিরাম বৃষ্টিধারা ,
﴿لِّنُخْرِجَ بِهِ حَبًّا وَنَبَاتًا﴾
১৫) যাতে তার সাহায্যে উৎপন্ন করতে পারি
﴿وَجَنَّاتٍ أَلْفَافًا﴾
১৬) শস্য , শাক সবজি ও নিবিড় বাগান ?১১
﴿إِنَّ يَوْمَ الْفَصْلِ كَانَ مِيقَاتًا﴾
১৭) নিসন্দেহে বিচারের দিনটি নির্ধারিত হয়েই আছে৷
﴿يَوْمَ يُنفَخُ فِي الصُّورِ فَتَأْتُونَ أَفْوَاجًا﴾
১৮) যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে , তোমরা দলে দলে বের হয়ে আসবে৷১২
﴿وَفُتِحَتِ السَّمَاءُ فَكَانَتْ أَبْوَابًا﴾
১৯) আকাশ খুলে দেয়া হবে , ফলে তা কেবল দরজার পর দরজায় পরিণত হবে৷
﴿وَسُيِّرَتِ الْجِبَالُ فَكَانَتْ سَرَابًا﴾
২০) আর পর্বতমালাকে চলমান করা হবে , ফলে তা মরীচিকায় পরিণত হবে৷১৩
﴿إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتْ مِرْصَادًا﴾
২১) আসলে জাহান্নাম একটি ফাঁদ ৷১৪
﴿لِّلطَّاغِينَ مَآبًا﴾
২২) বিদ্রোহীদের আবাস৷
﴿لَّابِثِينَ فِيهَا أَحْقَابًا﴾
২৩) সেখানে তারা যুগের পর যুগ পড়ে থাকবে৷১৫
﴿لَّا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرْدًا وَلَا شَرَابًا﴾
২৪) সেখানে তারা কোন রকম ঠাণ্ডা পানযোগ্য কোন জিনিসের স্বাদই পাবে না৷১৬
﴿إِلَّا حَمِيمًا وَغَسَّاقًا﴾
২৫) গরম পানি ও ক্ষতঝরা ছাড়া
﴿جَزَاءً وِفَاقًا﴾
২৬) (তাদের কার্যকলাপের) পূর্ণ প্রতিফল৷
﴿إِنَّهُمْ كَانُوا لَا يَرْجُونَ حِسَابًا﴾
২৭) তারা কোন হিসেব নিকেশের আশা করতো না৷
﴿وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا كِذَّابًا﴾
২৮) আমার আয়াতগুলোকে তারা একেবারেই মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল৷ ১৭
﴿وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ كِتَابًا﴾
২৯) অথচ প্রত্যেকটি জিনিস আমি গুণে গুণে লিখে রেখেছিলাম ৷ ১৮
﴿فَذُوقُوا فَلَن نَّزِيدَكُمْ إِلَّا عَذَابًا﴾
৩০) এখন মজা বুঝ , আমি তোমাদের জন্য আযাব ছাড়া কোন জিনিসে আর কিছুই বাড়াবো না ৷
﴿إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ مَفَازًا﴾
৩১) অবশ্যি মুত্তাকীদের ১৯  জন্য সাফল্যের একটি স্থান রয়েছে৷
﴿حَدَائِقَ وَأَعْنَابًا﴾
৩২) বাগ - বাগিচা , আঙুর ,
﴿وَكَوَاعِبَ أَتْرَابًا﴾
৩৩) নবযৌবনা সমবয়সী তরুণীবৃন্দ ২০
﴿وَكَأْسًا دِهَاقًا﴾
৩৪) এবং উচ্ছসিত পানপাত্র৷
﴿لَّا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا كِذَّابًا﴾
৩৫) সেখানে তারা শুনবে না কোন বাজে ও মিথ্যা কথা৷২১
﴿جَزَاءً مِّن رَّبِّكَ عَطَاءً حِسَابًا﴾
৩৬) প্রতিদান ও যথেষ্ট পুরস্কার ২২  তোমাদের রবের পক্ষ থেকে ,
﴿رَّبِّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الرَّحْمَٰنِ ۖ لَا يَمْلِكُونَ مِنْهُ خِطَابًا﴾
৩৭) সেই পরম করুণাময় আল্লাহর পক্ষ থেকে যিনি পৃথিবী ও আকাশসমূহের এবং তাদের মধ্যবর্তী প্রত্যেকটি জিনিসের মালিক , যার সামনে কারো কথা বলার শক্তি থাকবে না৷২৩
﴿يَوْمَ يَقُومُ الرُّوحُ وَالْمَلَائِكَةُ صَفًّا ۖ لَّا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَٰنُ وَقَالَ صَوَابًا﴾
৩৮) যেদিন রূহ ২৪  ও ফেরেশতারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে৷ পরম করুণাময় যাকে অনুমতি দেবেন এবং যে ঠিক কথা বলবে, সে ছাড়া আর কেউ কথা বলবে না৷২৫
﴿ذَٰلِكَ الْيَوْمُ الْحَقُّ ۖ فَمَن شَاءَ اتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِ مَآبًا﴾
৩৯) সেদিনটি নিশ্চিতভাবেই আসবে৷ এখন যার ইচ্ছ নিজের রবের দিকে ফেরার পথ ধরুক৷
﴿إِنَّا أَنذَرْنَاكُمْ عَذَابًا قَرِيبًا يَوْمَ يَنظُرُ الْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ وَيَقُولُ الْكَافِرُ يَا لَيْتَنِي كُنتُ تُرَابًا﴾
৪০) যে আযাবটি কাছে এসে গেছে সে সম্পর্কে আমি তোমাদের সতর্ক করে দিলাম৷২৬  যেদিন মানুষ সেসব কিছুই দেখবে যা তার দুটি হাত আগেই পাঠিয়ে দিয়েছে এবং কাফের বলে উঠবে , হায় ! আমি যদি মাটি হতাম ৷২৭

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন