শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬

আল মুযযাম্মিল

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ﴾
১) হে বস্ত্র মুড়ি দিয়ে শয়নকারী
﴿قُمِ اللَّيْلَ إِلَّا قَلِيلًا﴾
২) রাতের বেলা নামাযে রত থাকো৷ তবে কিছু সময় ছাড়া
﴿نِّصْفَهُ أَوِ انقُصْ مِنْهُ قَلِيلًا﴾
৩) অর্ধেক রাত,কিংবা তার চেয়ে কিছু কম করো৷
﴿أَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا﴾
৪) অথবা তার ওপর কিছু বাড়িয়ে নাও৷   আর কুরআন থেমে থেমে পাঠ করো৷
﴿إِنَّا سَنُلْقِي عَلَيْكَ قَوْلًا ثَقِيلًا﴾
৫) আমি অতি শীঘ্র তোমার ওপর একটি গুরুভার বাণী নাযিল করবো৷
﴿إِنَّ نَاشِئَةَ اللَّيْلِ هِيَ أَشَدُّ وَطْئًا وَأَقْوَمُ قِيلًا﴾
৬) প্রকৃতপক্ষে রাতের বেলা জেগে ওঠা   প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক বেশী কার্যকর   এবং যথাযথভাবে কুরআন পড়ার জন্য উপযুক্ত সময়
﴿إِنَّ لَكَ فِي النَّهَارِ سَبْحًا طَوِيلًا﴾
৭) দিনের বেলা তো তোমার অনেক ব্যস্ততা রয়েছে৷
﴿وَاذْكُرِ اسْمَ رَبِّكَ وَتَبَتَّلْ إِلَيْهِ تَبْتِيلًا﴾
৮) নিজ প্রভুর নাম স্মরণ করতে থাকো৷   এবং সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাঁরই জন্য হয়ে যাও৷
﴿رَّبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ فَاتَّخِذْهُ وَكِيلًا﴾
৯) তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের মালিক৷ তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই৷ তাই তাঁকেই নিজের উকীল হিসেবে গ্রহণ করো৷ ১০
﴿وَاصْبِرْ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ وَاهْجُرْهُمْ هَجْرًا جَمِيلًا﴾
১০) আর লোকেরা যা বলে বেড়াচ্ছে সে বিষয়ে ধৈর্যধারণ করো এবং ভদ্রভাবে তাদের থেকে আলাদা হয়ে যাও৷ ১১
﴿وَذَرْنِي وَالْمُكَذِّبِينَ أُولِي النَّعْمَةِ وَمَهِّلْهُمْ قَلِيلًا﴾
১১) এসব মিথ্যা আরোপকারী, সম্পদশালী লোকদের সাথে বুঝাপড়ার ব্যাপারটা তুমি আমার ওপর ছেড়ে দাও৷ ১২   আর কিছু কালের জন্য এদেরকে এ অবস্থায়ই থাকতে দাও৷
﴿إِنَّ لَدَيْنَا أَنكَالًا وَجَحِيمًا﴾
১২) আমার কাছে(এদের জন্য)আছে শক্ত বেড়ি, ১৩   জ্বলন্ত আগুণ,
﴿وَطَعَامًا ذَا غُصَّةٍ وَعَذَابًا أَلِيمًا﴾
১৩) গলায় আটকে যাওয়া খাবার এবং যন্ত্রণাদায়ক আযাব৷
﴿يَوْمَ تَرْجُفُ الْأَرْضُ وَالْجِبَالُ وَكَانَتِ الْجِبَالُ كَثِيبًا مَّهِيلًا﴾
১৪) এসব হবে সেদিন যেদিন পৃথিবী ও পর্বতমালা কেঁপে উঠবে এবং পাহাড়গুলোর অবস্থা হবে এমন যেন বালুর স্তূপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে৷ ১৪
﴿إِنَّا أَرْسَلْنَا إِلَيْكُمْ رَسُولًا شَاهِدًا عَلَيْكُمْ كَمَا أَرْسَلْنَا إِلَىٰ فِرْعَوْنَ رَسُولًا﴾
১৫) আমি তোমাদের ১৫   নিকট একজন রসূল পাঠিয়েছি তোমাদের জন্য সাক্ষী স্বরূপ ১৬   যেমন ফেরাউনের নিকট একজন রসূল পাঠিয়েছিলাম ৷
﴿فَعَصَىٰ فِرْعَوْنُ الرَّسُولَ فَأَخَذْنَاهُ أَخْذًا وَبِيلًا﴾
১৬) দেখো,ফেরাউন যখন সে রসূলের কথা মানলো না তখন আমি তাকে কঠোরভাবে পাকড়াও করলাম৷
﴿فَكَيْفَ تَتَّقُونَ إِن كَفَرْتُمْ يَوْمًا يَجْعَلُ الْوِلْدَانَ شِيبًا﴾
১৭) তোমরা যদি মানতে অস্বীকার করো তাহলে সেদিন কিভাবে রক্ষা পাবে যেদিনটি শিশুকে বৃদ্ধ বানিয়ে দেবে? ১৭
﴿السَّمَاءُ مُنفَطِرٌ بِهِ ۚ كَانَ وَعْدُهُ مَفْعُولًا﴾
১৮) যেদিনের কঠোরতায় আকাশ মণ্ডল বিদীর্ণ হয়ে যেতে থাকবে? আল্লাহর প্রতিশ্রুতি তো পূর্ন হবেই৷
﴿إِنَّ هَٰذِهِ تَذْكِرَةٌ ۖ فَمَن شَاءَ اتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِ سَبِيلًا﴾
১৯) এ একটি উপদেশ বাণী৷ অতএব যে চায় সে তার প্রভুর পথ অবলম্বন করুক৷
﴿إِنَّ رَبَّكَ يَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُومُ أَدْنَىٰ مِن ثُلُثَيِ اللَّيْلِ وَنِصْفَهُ وَثُلُثَهُ وَطَائِفَةٌ مِّنَ الَّذِينَ مَعَكَ ۚ وَاللَّهُ يُقَدِّرُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ ۚ عَلِمَ أَن لَّن تُحْصُوهُ فَتَابَ عَلَيْكُمْ ۖ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ ۚ عَلِمَ أَن سَيَكُونُ مِنكُم مَّرْضَىٰ ۙ وَآخَرُونَ يَضْرِبُونَ فِي الْأَرْضِ يَبْتَغُونَ مِن فَضْلِ اللَّهِ ۙ وَآخَرُونَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۖ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ ۚ وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَقْرِضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا ۚ وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنفُسِكُم مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِندَ اللَّهِ هُوَ خَيْرًا وَأَعْظَمَ أَجْرًا ۚ وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ﴾
২০) হে নবী, ১৮   তোমার রব জানেন যে, তুমি কোন সময় রাতের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ, কোন সময় অর্ধাংশ এবং কোন সময় এক তৃতীয়াংশ সময় ইবাদতে দাঁড়িয়ে কাটিয়ে দাও৷ ১৯   তোমার সংগী একদল লোকও এ কাজ করে৷ ২০   রাত এবং দিনের সময়ের হিসেব আল্লাহই রাখেন৷তিনি জানেন, তোমরা সময়ের সঠিক হিসেব রাখতে পারো না৷ তাই তিনি তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন৷ এখন থেকে কুরআন শরীফের যতটুকু স্বাচ্ছন্দে পড়তে পারবে ততটুকুই পড়বে৷ ২১   তিনি জানেন,তোমাদের মধ্যকার কিছু লোক হবে অসুস্থ ,কিছু লোক আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে ভ্রমণরত, ২২   এবং কিছু লোক আল্লাহর পথে লড়াই করে৷ ২৩   তাই কুরআনের যতটা পরিমাণ সহজেই পড়া যায় ততটাই পড়তে থাকো৷ নামায কায়েম করো, যাকাত দাও ২৪   এবং আল্লাহকে "করযে হাসানা" দিতে থাকো৷ ২৫   তোমরা নিজের জন্য যে পরিমাণ কল্যাণ অগ্রিম পাঠিয়ে দেবে তা আল্লাহর কাছে প্রস্তুত পাবে৷সেটিই অধিক উত্তম এবং পুরষ্কার হিসেবে অনেক বড়৷ ২৬   আর তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও৷নিশ্চয় আল্লাহ পরম ক্ষমাশীলও দয়ালু৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন