শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬

আল মুতাফফিফীন

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
وَيْلٌ لِّلْمُطَفِّفِينَ
১) ধবংস তাদের জন্য যারা মাপে কম দেয়৷
﴿الَّذِينَ إِذَا اكْتَالُوا عَلَى النَّاسِ يَسْتَوْفُونَ﴾
২) তাদের অবস্থা এই যে , লোকদের থেকে নেবার সময় পুরোমাত্রায় নেয়
﴿وَإِذَا كَالُوهُمْ أَو وَّزَنُوهُمْ يُخْسِرُونَ﴾
৩) এবং তাদেরকে ওজন করে বা মেপে দেবার সময় কম করে দেয়৷
﴿أَلَا يَظُنُّ أُولَٰئِكَ أَنَّهُم مَّبْعُوثُونَ﴾
৪) এরা কি চিন্তা করে না , একটি মহাদিবসে
﴿لِيَوْمٍ عَظِيمٍ﴾
৫) এদেরকে উঠিয়ে আনা হবে ?
﴿يَوْمَ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ﴾
৬) যেদিন সমস্ত মানুষ রব্বুল আলামীনের সামনে দাঁড়াবে ৷
﴿كَلَّا إِنَّ كِتَابَ الْفُجَّارِ لَفِي سِجِّينٍ﴾
৭) কখনো নয় , নিশ্চিতভাবেই পাপীদের আমলনামা কয়েদখানার দফতরে রয়েছে৷
﴿وَمَا أَدْرَاكَ مَا سِجِّينٌ﴾
৮) আর তুমি কি জানো সেই কয়েদখানার দফতরটা কি ?
﴿كِتَابٌ مَّرْقُومٌ﴾
৯) একটি লিখিত কিতাব৷
﴿وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ﴾
১০) সেদিন মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য ধবংস সুনিশ্চিত ,
﴿الَّذِينَ يُكَذِّبُونَ بِيَوْمِ الدِّينِ﴾
১১) যারা কর্মফল দেবার দিনটিকে মিথ্যা বলেছে ৷
﴿وَمَا يُكَذِّبُ بِهِ إِلَّا كُلُّ مُعْتَدٍ أَثِيمٍ﴾
১২) আর সীমালংঘনকারী পাপী ছাড়া কেই একে মিথ্যা বলে না ৷
﴿إِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِ آيَاتُنَا قَالَ أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ﴾
১৩) তাকে যখন আমার আয়াত শুনানো হয়  সে বলে , এ তো আগের কালের গল্প৷
﴿كَلَّا ۖ بَلْ ۜ رَانَ عَلَىٰ قُلُوبِهِم مَّا كَانُوا يَكْسِبُونَ﴾
১৪) কখনো নয় , বরং এদের খারাপ কাজের জং ধরেছে৷
﴿كَلَّا إِنَّهُمْ عَن رَّبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّمَحْجُوبُونَ﴾
১৫) কখখনো নয়, নিশ্চিতভাবেই সেদিন তাদের রবের দর্শন থেকে বঞ্চিত রাখা হবে৷
﴿ثُمَّ إِنَّهُمْ لَصَالُو الْجَحِيمِ﴾
১৬) তারপর তারা গিয়ে পড়বে জাহান্নামের মধ্যে ৷
﴿ثُمَّ يُقَالُ هَٰذَا الَّذِي كُنتُم بِهِ تُكَذِّبُونَ﴾
১৭) এরপর তাদেরকে বলা হবে , এটি সেই জিনিস যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে৷
﴿كَلَّا إِنَّ كِتَابَ الْأَبْرَارِ لَفِي عِلِّيِّينَ﴾
১৮) কখখনো নয় , অবশ্যি নেক লোকদের আমলনামা উন্নত মর্যাদাসম্পন্ন লোকদের দফতরে রয়েছে৷
﴿وَمَا أَدْرَاكَ مَا عِلِّيُّونَ﴾
১৯) আর তোমরা কি জানো , এ উন্নত মর্যাদাসম্পন্ন লোকদের দফতরটি কি ?
﴿كِتَابٌ مَّرْقُومٌ﴾
২০) এটি একটি লিখিত কিতাব৷
﴿يَشْهَدُهُ الْمُقَرَّبُونَ﴾
২১) নৈকট্য লাভকারী ফেরেশতারা এর দেখাশুনা করে ৷
﴿إِنَّ الْأَبْرَارَ لَفِي نَعِيمٍ﴾
২২) নিসন্দেহে নেক লোকেরা থাকবে বড়ই আনন্দে৷
﴿عَلَى الْأَرَائِكِ يَنظُرُونَ﴾
২৩) উঁচু আসনে বসে দেখতে থাকবে৷
﴿تَعْرِفُ فِي وُجُوهِهِمْ نَضْرَةَ النَّعِيمِ﴾
২৪) তাদের চেহারায় তোমরা সচ্ছলতার দীপ্তি অনুভব করবে৷
﴿يُسْقَوْنَ مِن رَّحِيقٍ مَّخْتُومٍ﴾
২৫) তাদেরকে মোহর করা বিশুদ্ধতম শরাব পান করানো হবে৷
﴿خِتَامُهُ مِسْكٌ ۚ وَفِي ذَٰلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ الْمُتَنَافِسُونَ﴾
২৬) তার ওপর মিশক-এর মোহর থাকবে ৷ ১০ যারা অন্যদের ওপর প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে চায় তারা যেন এই জিনিসটি হাসিল করার জন্য প্রতিযোগিতায় জয়ী হবার চেষ্টা করে৷
﴿وَمِزَاجُهُ مِن تَسْنِيمٍ﴾
২৭) সে শরাবে তাসনীমের১১ মিশ্রণ থাকবে৷
﴿عَيْنًا يَشْرَبُ بِهَا الْمُقَرَّبُونَ﴾
২৮) এটি একটি ঝরণা, নৈকট্যলাভকারীরা এর পানির সাথে শরাব পান করবে৷
﴿إِنَّ الَّذِينَ أَجْرَمُوا كَانُوا مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا يَضْحَكُونَ﴾
২৯) অপরাধীরা দুনিয়াতে ঈমানদারদের বিদ্রূপ করতো৷
﴿وَإِذَا مَرُّوا بِهِمْ يَتَغَامَزُونَ﴾
৩০) তাদের কাছ দিয়ে যাবার সময় চোখ টিপে তাদের দিকে ইশারা করতো৷
﴿وَإِذَا انقَلَبُوا إِلَىٰ أَهْلِهِمُ انقَلَبُوا فَكِهِينَ﴾
৩১) নিজেদের ঘরের দিকে ফেরার সময় আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে ফিরতো ৷ ১২
﴿وَإِذَا رَأَوْهُمْ قَالُوا إِنَّ هَٰؤُلَاءِ لَضَالُّونَ﴾
৩২) আর তাদেরকে দেখলে বলতো , এরা হচ্ছে পথভ্রষ্ট৷১৩
﴿وَمَا أُرْسِلُوا عَلَيْهِمْ حَافِظِينَ﴾
৩৩) অথচ তাদেরকে এদের ওপর তত্ত্বাবধায়ক করে পাঠানো হয়নি৷১৪
﴿فَالْيَوْمَ الَّذِينَ آمَنُوا مِنَ الْكُفَّارِ يَضْحَكُونَ﴾
৩৪) আজ ঈমানদাররা কাফেরদের ওপর হাসছে৷
﴿عَلَى الْأَرَائِكِ يَنظُرُونَ﴾
৩৫) সুসজ্জিত আসনে বসে তাদের অবস্থা দেখছে৷
﴿هَلْ ثُوِّبَ الْكُفَّارُ مَا كَانُوا يَفْعَلُونَ﴾
৩৬) কাফেররা তাদের কৃতকর্মের “ সওয়াব” পেয়ে গেলো তো? ১৫

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন