পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ২৪ মে, ২০২০

নদীর তীরে তিন লোকের কাহিনী।


তিন জন লোক চলতে চলতে একটি নদীর তীরে হাজির হলো। তারা নদী পার হওয়ার বিষয়ে ব্যক্তিগত ভাবে চিন্তা-ফিকির করতে লাগল।
 প্রথম ব্যক্তি নদী পার না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। সে ভাবল, নদী পার হওয়ার আমার কোন দরকার নেই। কারণ ওই পারে ভালো কিছু আছে বলে জানা নেই। আমি বরং এ পারে-ই ভালো আছি।  সুতরাং সে নদী পার হলো না।

দ্বিতীয় ব্যক্তি নদী পার হয়ে ওপারে চলে যেতে মনস্থির করল। সে ভাবল, ওপারে এপার থেকে অনেক ভালো কিছু আছে বলে এক  বিশ্বস্ত লোক জানিয়েছে। সে লোকটি আজীবন সত্য কথা বলেছে। জীবনে একটিবারও মিথ্যা কথা বলেনি। সুতরাং ওপারে নিশ্চয়ই এপার থেকে ভালো কিছু পাওয়া যাবে। অন্তত এপার থেকে খারাপ কিছু হবে না নিশ্চয়ই। তাই সে সাঁতরে কষ্ট করে নদী পার হয়ে ওপারে চলে গেল। 

তৃতীয় ব্যক্তি কি করবে ঠিক করতে পারলো না। কিন্তু এক পর্যায়ে সে নদীতে নেমে পড়ল। যখন সে নদীর মাঝখানে পৌঁছল তখন তীরের দাঁড়ানো লোকটি বলল, "ধ্বংস হতে কোথায় যাচ্ছো! তীরে চলে আসো।" আবার যে নদী পার হয়ে ওপারে চলে গেল সে বলল, " এ তীরে চলে আসো, মুক্তি পেয়ে যাবে আর আমার মত গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে। অর্ধেক তো চলেই এসেছ।" এখন সে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে একবার এদিকে আবার ওদিকে তাকাতে লাগল। সে দোদুল্যমান অবস্থায় পড়ল। এমন সময় বিরাট এক ঢেউ এসে তাকে তলিয়ে নিয়ে গেল। ফলে সে মৃত্যু মুখে পতিত হলো।
এখানে নদী অতিক্রমকারী ব্যক্তি হলো মুসলমান। নদীর তীরে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি হলো কাফির।  আর ডুবে মৃত্যু বরণকারী হলো মুনাফিক। 

(মুসনাদ-ই ইবনে আবি হাতিমে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত মাওকুফ হাদিস অবলম্বনে তাফসীরে ইবনে কাসিরে সূরা আন- নিসার ১৪৩ নং আয়াতের তাফসীর থেকে।)

শনিবার, ২৩ মে, ২০২০

মশা ও মানুষঃ প্রেক্ষিত নাস্তিকতা - নিমু মাহবুব

কিছু মানুষ আছে যারা বলে, "যা দেখিনা তা মানি না। 
সুতরাং সৃষ্টিকর্তাকে দেখিনা, তাই সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নেই।"
কিন্তু তাদের আকল একটা মশার চেয়েও আড়ষ্ট। কারণ মশাও না দেখে অনেক কিছু বিশ্বাস করে। যেমন আমাদের চামড়ার নিচে যে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে মশা কিন্তু তা না দেখেই একশভাগ বিশ্বাস করে।

♣ মশার কিছু আশ্চর্য্য ক্ষমতা জেনে নেয়া যাক।

♦ আমাদের নিঃশ্বাসের মাধ্যমে মশারা আমাদের উপস্থিতি টের পায়। মানে আমরা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে যে কার্বন ডাই- অক্সাইড ত্যাগ করি তা থেকে যে ঘ্রাণ বের হয় তা আমরা টের না পেলেও মশা কিন্তু টের পায়।

♦ আমাদের ঘাম থেকেও মশারা আমাদেরকে খুঁজে পায়।

♦ মশারা কিন্তু আমাদের চামড়ার নিচের রক্তের গ্রুপের টাইপও ধরতে পারে। অথচ মানুষ পরীক্ষা করার আগে তা জানতে পারেনা। মশা "ও" গ্রুপের রক্তধারীদের ২ গুন বেশি কামড়ায় "এ" গ্রুপধারীদের চেয়ে।

♦ শুধু মহিলা মশাই আমাদের রক্ত খায়। পুরুষরা আমাদের আশেপাশে তেমন একটা ঘেঁষে না।

♦আপনি কি কখনো বংশ বৃদ্ধির জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নিবেন? মশারা এমন একটা প্রাণী যারা বংশ বৃদ্ধির জন্য জীবনের ঝুঁকি নেয়। মানে মশার ডিম পাড়ার জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন হয় যা সহজেই মশা পায় মানুষ ও প্রাণীর রক্তে।

♦ মশা ঘুমন্ত আর জাগ্রত মানুষের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। আমরা অনেক সময়ই ব্যর্থ হই।

♦ ১৫০ ফুটেরও অধিক দূর থেকে মশা আমাদের নিঃশ্বাসের গন্ধ টের পায়। ৩০ ফুটেরও অধিক দূর থেকে মশা আমাদের সরাসরি দেখতে পায়।