পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৪

শুনরে বিশিষ্ট, শুনরে সুশীল শুনরে বুদ্ধিজীবি, চেতনার ফেরি করে আর কত বিজয় খুঁজবি?

বিজয় মানে কি

রং মেখে অঙ্গে পতাকার আসন?

বিজয় মানে কি

দিনব্যাপী বাজানো মুজিবের ভাষণ?

বিজয় মানে কি

রাজপথের রক্তে মাখানো লাশ?

বিজয় মানে কি

রাজনৈতিকদের মানুষের সাথে করা পরিহাস?

বিজয় মানে কি

আলোচনা সভা, রাজপথের মিছিল?

বিজয় মানে কি

ধর্মকে গালি দিয়ে সাজতে যাওয়া সুশীল?

বিজয় মানে কি

বিশিষ্টজনদের দেয়া সংবর্ধণা?

বিজয় মানে কি

মিডিয়াতে বসে করা ব্যাক্তি বন্দনা?

বিজয় মানে কি

রাস্তার মোড়ে বিরানি রেঁধে খাওয়া?

বিজয় মানে কি

দলবেঁধে হিন্দি সিনেমা দেখতে যাওয়া?

বিজয় মানে কি

টিএসসিতে কনসার্টের আয়োজন?

বিজয় মানে কি

পার্কে বসে মদ-গাঞ্জা সেবন?

বিজয় মানে কি

শহীদ মিনারে দেয়া শ্রদ্ধাঞ্জলী

বিজয় মানে কি

চেতনার নামে বিদ্যালয়ে গোলাগুলি?

শুনরে বিশিষ্ট, শুনরে সুশীল

শুনরে বুদ্ধিজীবি,

চেতনার ফেরি করে

আর কত বিজয় খুঁজবি?

বিজয় দেখিস এসে

মোদের পল্লি গাঁয়ের বুকে,

বিজয় দেখিস এসে

মোদের কৃষকের হাসি মুখে।

বিজয় দেখিস এসে

মোদের দিনমজুরের ঘরে,

বিজয় দেখিস এসে

সহজ-সরল মানুষের অন্তরে।

রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৪

হঠাৎ মনে পড়ে যায়

একদিন তোকে লইয়া
লিখেছিলাম কবিতা-গান,
নিকাল! তুই নিকাল!!
রাখলি না তার সম্মান।

যতই তুই চোরঙ বদলাস
পারবিনা নিজকে ঢাকতে,
মূলকে কাটিয়া আগায়
পারবিনা তুই বাঁচতে। 

যে আলোয় তুই হাঁটিয়া চলেছিস
নাই তাহাতে দীপ্তি,
যে জীবন তুই বাছিয়া লয়েছিস
তাহাতে নাই তৃপ্তি।  

 ভুলিয়া গেছিস! ডাঙ্গুলি খেলেছি,
খেলেছি গোল্লাছুট;
শীতের সকালে মোয়া খেয়েছি দু’জনা
বিকেলে ডালমুট।

কাঠবাদাম কুড়াইতে গিয়া
কত করিয়াছি অভিমান,
ভাসায়ে লয়ে যায় সকলি আজ
স্মৃতির ঐ সাম্পান।

কতনা তুই শুনিয়ে ছিলি
মিষ্টি কথার ভাষণ,
সাক্ষী আছে দূর্বাঘাস
আর কনক্রিটের আসন।

থাক! থাক!! আর বলিবনা
ফুরাইয়া যাবে কালি,
জানি আমি জানি
তুই না আর বদলাবি।

তবু তোর তরে আমি
 দোয়া মাঙি যাই, “ওগো দয়াময়,
তার তরে যেন
তব দৃষ্টি সদয় হয়। ”